দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হলো মিসরের পিরামিড
নভেল করোনাভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচেনি আফ্রিকা মহাদেশও। এরই মধ্যে সেখানে চার লাখ ছাড়িয়েছে সংক্রমণ। মারা গেছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে তিন মাস পর চালু হলো মিসরের বিমানবন্দরগুলো। দ্বার খুলেছে ইতিহাসসমৃদ্ধ দেশটির সব মিউজিয়াম। গোটা বিশ্বের পর্যটকের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে পিরামিড।
মিসরের জাতীয় বিমান সংস্থা ইজিপ্টএয়ার জানিয়েছে, ১৪টি আন্তর্জাতিক বিমানে অন্তত দুই হাজার যাত্রী গতকাল বুধবার কায়রো বিমানবন্দর থেকে সফর করেছেন। সাড়ে তিনশরও বেশি ইউক্রেনীয় পর্যটককে নিয়ে দুটি বিমান নেমেছে লোহিত সাগরের হারগাদায়। লোহিত সাগরের উপকূলে মিসরের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র এটি।
মিসরের পুরাতত্ত্ববিষয়ক সুপ্রিম কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল মুস্তাফা ওয়াজিরি জানান, অন্তত ১২টি জাদুঘর ও পর্যটনস্থলে ইতোমধ্যে পর্যটকেরা আসতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে গিজার পিরামিড, কায়রোর ‘দ্য সিটাডেল অব সালাডিন’, কারনাকের প্রাচীন মন্দির, লাক্সরের ‘মরচুয়ারি টেম্পল অব হ্যাটশেপসুট’।
মুস্তাফা ওয়াজিরি জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সরকার চায় পর্যটনের হাত ধরেই দেশের ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে ফের চাঙ্গা করতে।
এদিকে আফ্রিকার পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। ‘দি আফ্রিকা সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ জানিয়েছে, আফ্রিকা মহাদেশের ৫৪টি দেশে চার লাখ ৪০ হাজারের বেশি আক্রান্ত। যদিও করোনার পরীক্ষা হচ্ছে খুব কম। পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে সংক্রমিতের সংখ্যাও বাড়বে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা দক্ষিণ আফ্রিকার। দেড় লাখের বেশি সংক্রমিত এ দেশেই। তার মধ্যে ২৮ শতাংশ সংক্রমণ জোহানেসবার্গে।
ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে লকডাউন শিথিল হলেও পর্যটন পুরোনো চেহারায় ফেরেনি। কিছু দেশ আন্তর্জাতিক সফর নিষিদ্ধ করছে। কিছু দেশ অনুমতি দিলেও পরামর্শ দিচ্ছে, খুব প্রয়োজন না থাকলে বিদেশ সফর না করতে। ফলে পর্যটনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর হাল সুবিধার নয়।