‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ : সোশ্যাল মিডিয়া থেকে গায়েব বিজেপির বিতর্কিত পোস্ট
ভারতের আহমেদাবাদ বিস্ফোরণকাণ্ডে দুদিন আগে ৩৮ জনকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিলেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। সে ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে ভারতে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছিল গুজরাট বিজেপির বিরুদ্ধে। বিতর্কিত সে পোস্ট এখন আর গুজরাট বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলগুলোতে নেই। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজেপির পোস্ট করা এক কার্টুনে দেখা যাচ্ছিল ফাঁসির দড়িতে বেশ কয়েকজন ঝুলছে। তাদের গালে দাড়ি। দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা ব্যক্তিরা ইসলাম ধর্মাবলম্বী। গুজরাট বিজেপি পোস্টটি করে ক্যাপশনে লিখেছিল, ‘সত্যমেব জয়তে। যারা হিংসা ছড়িয়ে দেয়, তাদের ক্ষমা নয়।’
গুজরাট বিজেপির ওই পোস্ট ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয় বিস্তর। এরপর পোস্টটি ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম থেকে সরে যায়। এ বিষয়ে টুইটার জানিয়েছে, তারা পোস্টটি সরিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রামেও পোস্টটি আর দেখা যাচ্ছে না। যদিও পোস্টটি মেটা কর্তৃপক্ষ সরিয়েছে না-কি বিজেপির পক্ষ থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। মেটা এ পোস্ট নিয়ে কিছু বলতে চায়নি বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
২০০৮ সালের ২৬ জুলাই একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল গুজরাটের আহমেদাবাদ শহর। ৭০ মিনিটে ২১টি বিস্ফোরণ হয়েছিল সেদিন। ওই বিস্ফোরণে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সে ঘটনায় আরও প্রায় ২৪০ জন আহত হয়েছিলেন। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার বদলা নিতেই ওই হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০০৮ সালে আহমেদাবাদের সে বিস্ফোরণের সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন অমিত শাহ। সে বিস্ফোরণের প্রায় সাড়ে ১৩ বছর পর মোট ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম বার একসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয় ৩৮ জনকে। বাকি ১১ জনকে শোনানো হয় যাবজ্জীবনের সাজা।