নিউজিল্যান্ডে ১০০ দিন ধরে নেই করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ
নিউজিল্যান্ডে নভেল করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণের সর্বশেষ ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছিল গত ১ মে। এরপর ১০০ দিন কেটে গেছে, দেশটিতে ঘটেনি করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ। তবে বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে ২৩ জন অ্যাকটিভ করোনায় আক্রান্ত রোগী রয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে নিউজিল্যান্ডে আসার সময় তাঁদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। ওই ২৩ জনের অবস্থা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড আজ রোববার এ খবর জানিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যবিষয়ক মহাপরিচালক অ্যাশলি ব্লুমফিল্ড বলেছেন, ‘করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ ছাড়া ১০০ দিন কাটানো একটি মাইলফলক।’ তবে এ ব্যাপারে আত্মতুষ্টিতে ভোগা ঠিক হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
অ্যাশলি ব্লুমফিল্ড বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে দেখেছি, ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আসার পরও পুনরায় কীভাবে সেটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন।’
ব্লুমফিল্ড আহ্বান জানান, যদি কারো করোনার উপসর্গ থাকে, তাহলে যেন তিনি স্বাস্থ্যসেবার নম্বরে ফোন দেন। এ ছাড়া অসুস্থ ব্যক্তিদের ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্লুমফিল্ড আরো বলেন, ‘আপনার নিজের চলাফেরা পর্যবেক্ষণ করুন, যেন পরে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের সময় আপনি সহযোগিতা করতে পারেন।’
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, ‘করোনার গোষ্ঠি সংক্রমণ ছাড়া ১০০ দিন একটি মাইলফলক। কিন্তু বিশ্বে চলমান মহামারির মধ্যে কোনোভাবেই ঝুঁকি কমে যাচ্ছে না। আমাদের সজাগ থাকতে হবে।’
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স বলেছেন, ‘সতর্কতার এক নম্বর স্তরে কারো মাস্ক পড়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, নতুন করে নিউজিল্যান্ডে গোষ্ঠী সংক্রমণের কোনো প্রমাণ নেই।’
করোনা মহামারি শুরুর পর নিউজিল্যান্ডে মোট এক হাজার ২১৯ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়।