নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির ২১ মরদেহ উদ্ধার, একজনের হদিস নেই
নেপালে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির ২২ আরোহীর মধ্যে একজন ছাড়া সবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে বলে এএফপির খবরে বলা হয়।
সোমবার মোসতাং জেলার পাহাড়ের ধারে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
রোববার সকালে নেপালের পশ্চিমাঞ্চলীয় পোখরা থেকে বেসরকারি সংস্থা তারা এয়ারের উড়োজাহাজটি জমসন শহরে যাচ্ছিল। এ যাত্রা ছিল ২০ মিনিটের। অবতরণের পাঁচ মিনিট আগে উড়োজাহাজটি নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
নেপালের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নারায়ণ শিলওয়াল বলেন, ২১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি একজনের মরদেহও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
উড়োজাহাজের আরোহীদের মধ্যে চারজন ভারতীয় ও দুজন জার্মান ছিলেন। বাকিরা নেপালি। তাঁদের মধ্যে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের দুই মেয়ে ছিলেন। তাঁরা কেবলই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন।
প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে সেনাবাহিনী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হেলিকপ্টার প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে রোববার দিনভর অনুসন্ধান চালায়। কয়েকটি দল পায়ে হেঁটে এই অনুসন্ধানের কাজে সহায়তা করে। কিন্তু রাত নামলে নিষ্ফল এই তল্লাশি অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বিবিসির খবরে বলা হয় নেপাল সরকার এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে।
নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার রেকর্ড আছে। সেখানে আবহাওয়ার বেশ ঘন ঘন পরিবর্তন হয়। বিমানবন্দরগুলো পাহাড়ি এলাকায়, যেগুলোতে ওঠানামা করা বেশ কঠিন।
২০১৮ সালে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট ৭১ জন আরোহী নিয়ে কাঠমান্ডুতে অবতরণ করার সময় উড়োহাজাহটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ৫১ জন নিহত হয়।