নেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই
নেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জীবিত কাউকে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ প্রশাসন।
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নেপালি পুলিশের মুখপাত্র টেক প্রসাদ রাই বলেন, ‘ধরে নেওয়া হচ্ছে দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই।’
গতকাল রোববার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পর্যটন শহর পোখারাগামী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে মোট ৭২ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন।
আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বিমানটির ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে আবারও অভিযান শুরু করে ৩০০ উদ্ধারকর্মী।
এদিকে দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে নেপালের প্রধানমন্ত্রী শ্রী পুষ্প কমল দাহাল দেশজুড়ে আজ একদিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি প্যানেল গঠন করেছেন নেপাল সরকার।
নেপালে বিমান দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। দেশটিতে দুর্গম রানওয়ে আর হঠাৎ পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার কারণে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত পাহাড়ি এলাকার এই ভূখন্ডে বিমান চালনার কাজটি বেশ কঠিন।
২০২২ সালের মে মাসে নেপালের উত্তরাঞ্চলে তারা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন ২২ জন। চার বছর আগে কাঠমান্ডু এয়ারপোর্টে অবতরণের সময় আগুন লেগে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হলে ৫১ জন নিহত হন।