ন্যাটো ‘কার্যত মৃত’, ফরাসি প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে ‘জঘন্য’ বললেন ট্রাম্প
আটাশ দেশের সামরিক জোট ন্যাটোকে ‘ব্রেইন ডেড’ (মস্তিষ্ক মরে যাওয়া বা কার্যত মৃত) বলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর দেওয়া বক্তব্যকে ‘জঘন্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
লন্ডনে ন্যাটো সম্মেলনের আগে গতকাল মঙ্গলবার জোটের মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প এমন প্রতিক্রিয়া জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ন্যাটোর কাছ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নেয় ফ্রান্স। ইউরোপের দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুবিধা নিলেও ন্যাটো জোটের জন্য তাদের জিডিপির ২ শতাংশও ব্যয় করতে চায় না বলে অভিযোগ করেন ট্রাম্প। ন্যাটোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি কঠোর হবেন বলেও জানান ট্রাম্প।
ন্যাটো সম্মেলন সামনে রেখে গত মাসে ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমানুয়েল ম্যাক্রো বলেন, ন্যাটোকে টিকিয়ে রাখতে সদস্য রাষ্ট্রগুলো আর বেশিদিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করতে পারবে না। ম্যাক্রো বলেন, ‘আমরা মস্তিষ্ক মরে যাওয়া ন্যাটোর কাছে আর কী-ই বা প্রত্যাশা করতে পারি। খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে ইউরোপ। ভূ-রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দাঁড়াতে গেলে এখন নিজেদের কৌশল নিজেদেরই ঠিক করতে হবে। না হলে আমরা বেশিদিন নিজেদের ভাগ্য নিজেদের হাতে রাখতে পারব না।’
উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটো প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল। আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে অবস্থিত উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এই আঞ্চলিক সামরিক সহযোগিতার জোটের সদস্য। ইকোনমিস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতায় ন্যাটোর এই দশা। সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগে ন্যাটোর সঙ্গে আলোচনা না করায় ট্রাম্পের সমালোচনা করেন ম্যাক্রো।
এদিকে বার্তা সংস্থা এপি বলছে, গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দুই দিনের ন্যাটো সম্মেলনের সাইডলাইনে ইমানুয়েল ম্যাক্রোর সঙ্গে বৈঠক করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, লন্ডনে সম্মেলন শুরুর প্রাক্কালে গত সোমবার রাতে ফরাসি পণ্যে শতভাগ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওয়াশিংটন।