পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
দুর্নীতির দায়ে পদত্যাগ করলেন যুক্তরাজ্যের অর্থ ও নগরবিষয়ক মন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার সরকারের মন্ত্রী ছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।
এএফপি জানায়, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের কাছে এক চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক বলেছেন, তিনি কোনো ভুল করেননি। তবে, তার অফিস চালিয়ে যাওয়া সম্ভবত সরকারের কাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে। তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক শেখ হাসিনার সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্কের কারণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। শেখ হাসিনা দীর্ঘ ক্ষমতায় থাকার সময় স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছিলেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর গত বছরের আগস্ট মাসে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন।
গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ঘোষণা করেছে, টিউলিপ সিদ্দিকসহ শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যরা রাজধানীতে অবৈধভাবে প্লট দখল করেছে এমন অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগটি দুদক তদন্ত করছে।
টিউলিপ সিদ্দিকসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এর আগে রাশিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। বাংলাদেশের মানি লন্ডারিং তদন্তকারীরা তখন থেকে দেশের বড় ব্যাংকগুলোকে তদন্তের অংশ হিসেবে সিদ্দিকের সঙ্গে সম্পর্কিত লেনদেনের বিশদ হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে।
টিউলিপ তার পদত্যাগের চিঠিতে বলেছেন, তার পারিবারিক বিষয়গুলো সর্বজনীন রেকর্ডের বিষয়। তিনি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘লেবার পার্টির প্রতি আমি সবসময় লয়াল থাকছি। তাই আমি আমার মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার এমন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য টিউলিপ সিদ্দিককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। টিউলিপকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে আর্থিক অসঙ্গতির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
স্টারমার বলেন, ‘আমি প্রশংসা করি যুক্তরাজ্যকে পরিবর্তন করার জন্য ও আমাদের এজেন্ডা থেকে চলমান বিভ্রান্তির অবসান ঘটাতে, আপনি (টিউলিপ) একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সামনের দিকে আপনার জন্য দরজা খোলা রয়েছে।