পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত
দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এক কিশোরসহ তিন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, ওই এলাকায় অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতেই এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। খবর আল জাজিরার।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নাবুলাস শহরে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত হন ১৭ বছর বয়সী নাদের রায়ান। তার মাথায়, বুকে ও হাতে গুলি লাগে। এ ঘটনায় আহত হন আরো তিনজন ফিলিস্তিনি।
ইসরায়েলের সীমান্ত পুলিশের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেন যে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তিনি দাবি করেন, একজন ‘সন্ত্রাসী’ ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি করলে পাল্টা গুলিতে সে নিহত হয়।
এদিকে জেরুজালেমের উত্তরে কালান্দিয়া শরণার্থী শিবিরে নিহত হন আলা শাহাম নামের আরো এক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় মাথায় গুলি লেগে মারা যান ২০ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনি। কালান্দিয়া পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিমতীরের মূল চেক পয়েন্ট।
এ ছাড়া নাকাব মরুভূমির অভ্যন্তরে রাহাত শহরে সালেম আল-হারবেদ নামের ২৭ বছর বয়সী একজনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনি পরিচয় দিয়ে একটি গোপন ইসরায়েলি ইউনিট তিন সন্তানের বাবা সালেম আল-হারবেদকে হত্যা করে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সরকার, পশ্চিম তীরে এক হাজার ৩৫৫টি বাড়ি নির্মাণের কাজ করছে। দুই হাজারের বেশি বাসিন্দা থাকবে সেখানে। গত আগস্টে পশ্চিম তীরে এসব বসতি নির্মাণের অনুমোদন দেয় ইসরায়েল সরকার।
১৯৬৭ সালে ৬ দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পশ্চিম তীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে বিভিন্ন দফায় সেখানে বসতি স্থাপন করেছে দেশটি। পশ্চিম তীরে বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ ইসরায়েলি ইহুদির বাস। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটাকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।