প্যারিসে শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা, প্রেসিডেন্ট বলছেন ‘ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী আক্রমণ’
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উত্তর-পশ্চিমে কনফ্লো-সান্ত-অনোরিন এলাকায় এক শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হত্যাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে কনফ্লো-সান্ত-অনোরিনে নিজ কর্মস্থল একটি মাধ্যমিক স্কুলের সামনের সড়কে হামলার শিকার হন ইতিহাসের ওই শিক্ষক। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এমনটি জানানো হয়।
সন্দেহভাজন হত্যাকারীর হাতে একটি ছুরি এবং একটি এয়ারসফট গান ছিল। শিক্ষককে হত্যার স্থান থেকে ৬০০ মিটার দূরে ওই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আক্রমণকারী উচ্চস্বরে ‘আল্লাহু আকবর’ বলেছিলেন বলে একজন প্রত্যক্ষদর্শী শুনেছেন।
দিন দশেক আগে ইতিহাসের ওই শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কিছু ব্যঙ্গচিত্র দেখিয়েছিলেন, যা মুসলিমদের কাছে খুবই আপত্তিকর। ওই ব্যাঙ্গচিত্র নিয়ে বিতর্ক আয়োজনের পর থেকেই হত্যার হুমকি পাচ্ছিলেন তিনি।
ঘটনার পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি এই হত্যাকে ‘ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন। ম্যাঁক্রো বলেন, ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলার কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে।’
ফ্রান্সের বিচার বিভাগীয় একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক শিশুসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
২০১৫ সালে মহানবীকে (সা.) ব্যঙ্গ করে কার্টুন ছাপানোর পর ফ্রান্সের ব্যঙ্গাত্মক ম্যাগাজিন শার্লি হেব্দোর অফিসে হামলায় সম্পাদকসহ ১২ জন নিহত হন। ওই ঘটনার বিচার চলছে। তিন সপ্তাহ আগে শার্লি হেব্দোর সেই অফিসের সন্নিকটে এক ব্যক্তির আক্রমণে দুজন মারাত্মক জখম হন। ওই ঘটনাকেও ‘ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী আক্রমণ বলে অভিহিত করেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।