বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর অঙ্গীকার তুরস্কের
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠককালে এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার এ কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষাবিনিময় ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারকরণসহ বাংলাদেশ ও তুরস্কের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো জোরদার করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়।
দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, উভয় দেশের সম্পর্কের নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উভয় দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র দপ্তর ও যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তুরস্কের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আরো ভেন্টিলেটর ও মাস্কসহ করোনা চিকিৎসাসামগ্রী দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠককালে বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সে দেশে প্রত্যাবর্তনে তুরস্ক সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে উল্লেখ করেন মেভলুত কাভুসোগলু। এ আলোচনায় ডি-৮-এর কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার বিষয়ে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত পোষণ করেন। উভয় দেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়। এ সময় ফিলিস্তিনিদের ন্যায়সংগত অধিকারের পক্ষে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের বিষয়টি তুলে ধরেন ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন চার দিনের সফরে বর্তমানে তুরস্কে রয়েছেন। তিনি গত রোববার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছালে ইস্তাম্বুলের ডেপুটি গভর্নর ইসমাইল সানলি তাঁকে স্বাগত জানান। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌজন্যে গতকাল তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।