‘মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় করোনার চিকিৎসাসামগ্রী আমদানির সমস্যায় ইরান’
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী আমদানি করতে না পারার অভিযোগ তুলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। নিজের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে গত শনিবার দেওয়া এক পোস্টে এ অভিযোগ করেন জারিফ।
টুইটে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, ‘ইরানি জনগণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে। আর তেহরান যাতে এই প্রাণঘাতী রোগ মোকাবিলা করতে না পারে, সে জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে অবৈধ নিষেধাজ্ঞা জোরদার করেছেন। এর ফলে ইরান করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী ও ওষুধ আমদানি করতে পারছে না।’
তেহরানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞাকে ওয়াশিংটনের চিকিৎসা-সন্ত্রাস উল্লেখ করে এ ব্যাপারে নীরবতা ভাঙার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন জাভেদ জারিফ।
গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন হামলায় ইরানি শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বৈরিতা নতুন মাত্রা পেয়েছে। এর পর থেকে দুটি দেশই ইরাক-সিরিয়ায় নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা করে আসছে। যেকোনো সময় ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারে বলেও চারদিকে গুঞ্জন ওঠে।
এরই মধ্যে ইরানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে ৪৯ জনের প্রাণহানির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৪ জনে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইউরোপের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করেছে তেহরান। এর মধ্যেই গত শুক্রবার ফাতিমা রাহবার নামের ইরানের এক সংসদ সদস্যও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মোহাম্মদ মির মোহাম্মদির মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাটিকান নগরীতে দায়িত্ব পালন করা ইরানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হাদি খোসরো শাহির মৃত্যু হয়েছিল। ইরানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এ ছাড়া আক্রান্তদের তালিকায় রয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, স্বাস্থ্যবিষয়ক উপমন্ত্রী ছাড়াও ২৩ জনের বেশি পার্লামেন্ট সদস্য।