মালিতে সংঘর্ষে ৮ সেনাসহ সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৫৭ জন নিহত
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/02/20/maali.jpg)
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াইয়ে মালির আট সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। চার সেনাসদস্য এখনো নিখোঁজ। পরে বুরকিনা ফাসোর কাছে ত্রিদেশীয় সীমান্ত এলাকায় সেনা অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৫৭ সদস্য নিহত হন। মালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এসব তথ্য জানিয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে মালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বুরকিনা ফাসো ও নাইজার সীমান্তের কাছে আরকাম অঞ্চলে অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারীরা সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে ছিল।
এক সপ্তাহে এ অঞ্চলের প্রায় ৪০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। অঞ্চলটিতে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসসহ বেশ কিছু প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। স্থানীয় সূত্রের বরাতে আল জাজিরা বলেছে, বেসামরিক নাগরিকেরা এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি অনুগত বলে মনে করা হয়ে থাকে।
মালির ক্ষমতাসীন সেনা সরকার শুক্রবার তাদের ভূখণ্ড থেকে অবিলম্বে ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহার করতে বলার পর মালির সেনাসদস্যদের ওপর এ হামলা হলো।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2022/02/20/capmaali.jpg 687w)
২০১২ সালে তুয়ারেগ বিদ্রোহী ও অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মালির উত্তরাঞ্চলের দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে নেয়। তখন থেকে দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে লড়াই করছে মালি সরকার। ২০১৩ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠীকে মোকাবিলায় মালিতে সেনা মোতায়েন করে সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স। তবে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মরুভূমিতে নতুন করে সংগঠিত হয়ে সেনাবাহিনী ও বেসামরিকদের ওপর নিয়মিত হামলা চালাতে থাকে। বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে তৎপরতা শুরু করে তারা।