মুরগির বলে দোকানিদের কাছে কাকের মাংস বিক্রি, আটক ২
মুরগির মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছিল কাকের মাংস। আর তা দিয়েই তৈরি করা হয় বিরিয়ানি। দিনের পর দিন ওই বিরিয়ানি বিক্রি করা হচ্ছিল। এমনটাই ঘটেছে ভারতের তামিলনাডু রাজ্যের রামেশ্বরমে। এ ঘটনায় দুজনকে কয়েক দিন আগে আটক করে স্থানীয় পুলিশ। আটক দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ১৫০টি মৃত পাখিও উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এর পাশাপাশি জেরায় উঠে এসেছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্যও।
জানা গেছে, মুরগির মাংসের নামে কাকের মাংস বিক্রির কারবার বহুদিন ধরেই করে আসছিল আটক ওই দুই ব্যক্তি। মন্দিরের শহর বলে ভারতে পরিচিত রামেশ্বরমে বহু পুণ্যার্থী তীর্থযাত্রায় আসেন। সম্প্রতি এই তীর্থযাত্রীরা যখন একটি মন্দিরে পূর্বপুরুষের স্মরণে কাকদের খাবার খাওয়াচ্ছিলেন, তখন দেখেন খাবার খেয়ে এক এক করে অসংখ্য কাক মারা যাচ্ছে। তখনই সন্দেহ হয় তীর্থযাত্রীদের। এরপরই বিষয়টি পুলিশকে জানান এক প্রত্যক্ষদর্শী। এরপর পুলিশ এসে তদন্ত করে দেখে, খাবারের মধ্যে বিষ মেশানো ছিল। এবং মরা কাকগুলোকেই এরপর মুরগির মাংস হিসেবে বিক্রি করছিল অভিযুক্তরা। সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া বা পিটিআই এ খবর জানিয়েছে।
রাস্তার ধারের বিভিন্ন খাবারের দোকানে ওই কাকের মাংস অভিযুক্তরা মুরগির মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করত বলে জানা গেছে। এর ফলে শহরের বিভিন্ন বিরিয়ানির দোকানেও মুরগির বলে কাকের মাংস বিক্রি হয়েছে বেশ কয়েক মাস ধরেই। আর সে খাবারই না জেনে খেয়েছেন সাধারণ মানুষ। এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হৈচৈ পড়ে গেছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। আটক ব্যক্তিদের কড়া সাজার দাবি উঠেছে। এদিকে চিকেন বলে কাকের মাংস বিক্রির খবর প্রকাশ্যে আসতেই এখন বিরিয়ানি খেতেই আর মন চাইছে না ওই এলাকার মানুষের।