যুক্তরাজ্যে লরিতে পাওয়া সব মরদেহ ভিয়েতনামিদের
যুক্তরাজ্যের এসেক্সে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লরিতে পাওয়া ৩১ জন পুরুষ ও আট নারীর মরদেহের সবই ভিয়েনামিদের বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত সপ্তাহে এসেক্স কাউন্টির একটি শিল্পাঞ্চলে কনটেইনারের ভেতর পাওয়া এসব মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল লাশগুলো চীনা নাগরিকদের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে এসেক্স পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ভিয়েতনাম ও ইংল্যান্ডে একাধিক পরিবারের সঙ্গে’ এবং ভিয়েতনাম সরকারের সঙ্গে তারা সরাসরি যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে নিহতদের মধ্যে তাদের প্রিয়জন রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি ভিয়েতানামি পরিবার।
‘বিদেশে ভ্রমণ ব্যর্থ হয়েছে’ বলে গত মঙ্গলবার রাতে পরিবারের কাছে বার্তা পাঠায় ফাম থি ত্রা নামের ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী।
মৃত্যুর কারণ জানতে লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। পুলিশের সহকারী প্রধান কনস্টেবল টিম স্মিথ বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের বিশ্বাস, লাশগুলো ভিয়েতনামের নাগরিকদের। এ বিষয়ে আমরা ভিয়েতনাম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
তবে নিহতদের পরিচয় জানানো এখন পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে লরিচালক আইরিশ নাগরিক মরিস রবিনসনকে গত সোমবার আদালতে হাজির করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মানবহত্যাসহ একাধিক অভিযোগ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ছাড়া এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইয়ামন হ্যারিসন নামের এক তরুণকে ডুবিন থেকে আটক করেছে পুলিশ। সন্দেহভাজন ২২ বছর বয়সী হ্যারিসনকে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বলে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই তরুণকে নিজ দেশে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে মানব পাচার ও হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে উত্তর আয়ারল্যান্ডের রোনান হিউজ ও ক্রিস্টোফার হিউজ নামের দুই ভাইকে খুঁজছে পুলিশ।