যুক্তরাজ্যে লেবার দলের হয়ে ৪ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারীর জয়
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে আলোচিত চার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারীরা সবাই জয়লাভ করেছেন। চারজনই লেবার পার্টির। তাঁরা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক, রূপা হক, রুশনারা আলী ও আফসানা বেগম।
হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন এলাকা থেকে লেবার পার্টির টিকেটে টানা তিনবার এমপি হয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক। এ ছাড়া হ্যাটট্রিকবারের মতো জিতেছেন অপর বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নারী রূপা হক। এ ছাড়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলী ও প্রথমবারের মতো আফসানা বেগম সংসদ সদস্যপদে জয়ী হয়েছেন।
নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ সিদ্দিক ২৮ হাজার ৮০ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির জনি লাক পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮৯২ ভোট। এর আগে ২০১৫ সালে লেবার পার্টির মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ এমপি নির্বাচিত হন টিউলিপ। ২০১৭ সালে পুনর্নির্বাচিত হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো তিনি ওই আসনের এমপি হন।
২০১৭ সালের নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হওয়া লেবার নেতা রূপা হক এবার ৫১.৩ শতাংশ, অর্থাৎ ২৮ হাজার ১৩২ ভোট পেয়ে লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনটি লেবারদের উপহার দিয়েছেন তিনি। সেখানে কনজারভেটিভ পার্টির জুলিয়ান গ্যালান্ট ১৪ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন। এ ছাড়া অন্যান্যের মধ্যে ব্রেক্সিট পার্টির সামির আলসুদানি ৬৬৪ ভোট পেয়েছেন। ২০১৫ সাল থেকেই আসনটি ধরে রেখেছেন রূপা।
রূপা রাজনীতিতে আসার আগে কিংস্টন ইউনিভার্সিটিতে সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। লন্ডনের হ্যামারস্মিথে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পরিবারে জন্ম নিয়ে ইলিংয়ে বেড়ে ওঠেন রূপা হক।
আরেক লেবার প্রার্থী রুশনারা আলী লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বাউ আসনে ৭২.৭ শতাংশ, অর্থাৎ ৪৪ হাজার ৬২ ভোট নিয়ে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন। কনজারভেটিভ দলের নিকোলাস স্টভল্ড ছয় হাজার ৫২৮ ভোট পেয়েছেন।
অন্যদিকে লেবার পার্টির হয়ে ৩৮ হাজার ৬৬০ ভোট পেয়ে পপলার অ্যান্ড লাইমহাউস আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন আফসানা বেগম। এখানে কনজারভেটিভ পার্টির সিউন ওকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৫৬ ভোট।
বুথফেরত জরিপ বলছে, গতবারের চেয়ে ৩১টি আসন বেশি পেয়ে এবারের নির্বাচনে ৩২৬ জায়গায় জয় পেয়ে এগিয়ে রয়েছে বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি। এ পর্যন্ত ঘোষিত ফল অনুযায়ী লেবার পার্টি ১২৫ আসন পেয়েছে, যা গতবারের চেয়ে ৩৯টি কম। ফলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বরিস জনসন।