লন্ডন ব্রিজে ‘সন্ত্রাসী হামলায়’ হামলাকারীসহ তিনজনের মৃত্যু
যুক্তরাজ্যের লন্ডন ব্রিজে ছুরি নিয়ে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। এ ছাড়া ওই সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ওই হামলাকারী। হামলার সময় ওই হামলাকারী ভুয়া বিস্ফোরক ডিভাইস পরা অবস্থায় ছিল। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার নীল বসু জানিয়েছেন, ওই হামলাকারীর নাম উসমান খান (২৮)। ২০১২ সালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁকে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পরে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে তাঁর গতিবিধি লক্ষ্য করা হবে এই শর্তে তাঁকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এরই মধ্যে স্টাফর্ডশায়ারের যেখানে উসমান খান থাকতেন, সেখানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনাকে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ। হামলার পর থেকে বন্ধ রয়েছে লন্ডন ব্রিজ। সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যান চলাচল বন্ধ থাকলেও চালু রয়েছে ট্রেন সার্ভিস।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে লন্ডন ব্রিজের ওপর ‘সংঘর্ষের’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, এই ‘সংঘর্ষের’ সময় একজন ছুরি নিয়ে হামলা চালায়।
টুইটারে লন্ডন ব্রিজ এলাকা থেকে প্রকাশ হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, লন্ডন ব্রিজের ওপর একদল লোক ধস্তাধস্তি করছে এবং পুলিশ তাদের দিকে বন্দুক তাক করে রেখেছে। এ সময় আতঙ্কিত পথচারীদের নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দৌঁড়াতে দেখা গেছে।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, ছুরি নিয়ে হামলায় জড়িত মূল সন্দেহভাজন পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন। হামলাকারী ভুয়া বিস্ফোরকজাতীয় ডিভাইস পরা ছিল বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে এ হামলা প্রতিহত করতে পারায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। অন্যদিকে লন্ডনের মেয়র সাদিক খানও তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেন।