শেষ পর্যন্ত সালাহ উদ্দিনের জামিন নামঞ্জুর
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের আদালতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের জামিন আবেদন শেষ পর্যন্ত নামঞ্জুর হয়েছে। আদালত পুলিশের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) প্রথমে জামিন মঞ্জুর হয়েছে বলে জানালেও ঘণ্টাখানেক পর তিনি জানান, জামিন হয়নি।
আজ শুক্রবার বিকেলে শিলংয়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সালাহ উদ্দিনের পক্ষে করা জামিন আবেদন শুনানি হয়। শিলংয়ে অবস্থানরত সাংবাদিক সুব্রত আচার্য্য এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিকেল ৪টার দিকে কোর্ট ইন্সপেক্টর কে ডি প্রসাদ আমাদের জানান, সালাহ উদ্দিনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঘণ্টাখানেক পর তিনি জানান, তিনটি কারণ দেখিয়ে আদালত শেষ পর্যন্ত জামিন নামঞ্জুর করেছেন।’
কোর্ট ইন্সপেক্টরের বরাত দিয়ে সুব্রত আচার্যের জানানো তথ্যের ভিত্তিতে এনটিভি অনলাইনেও সালাহ উদ্দিনের জামিন হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করা হয়।
সুব্রত জানান, বাংলাদেশের মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (এনসিবি) দিল্লির এনসিবির কাছে অনুরোধ জানায়, সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা রয়েছে, তাঁকে জামিন দিলে তিনি পালিয়ে যেতে পারেন। পরে দিল্লি থেকে তা মেঘালয় পুলিশকে জানানো হয়। মামলার শুনানি চলাকালেই বিষয়টি হয় বলে সুব্রত জানান।
এ ছাড়া আদালত লিখিত আদেশে বলেছেন, সালাহ উদ্দিন ভারতে অনুপ্রবেশই করেছেন। এটিই আদালতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিশ এখনো আদালতে সালাহ উদ্দিনের ব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
এসব কারণে বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর করা হয় বলে কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রসাদ জানান।
২২ মে উন্নত চিকিৎসার জন্য সালাহ উদ্দিন আহমেদের জামিন চেয়ে স্থানীয় জেলা আদালতে আবেদন করেন তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
গত ২৭ মে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ১৪ দিনের হেফাজতে নেন শিলংয়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আদালতের বিচারক কে এম এল নোংব্রি শুনানি শেষে তাঁকে রুটিন চেকআপ শেষে ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেন।
এরপর সালাহ উদ্দিনকে নেগ্রিমস হাসপাতালে নেওয়া হয়। বুকে ব্যথা থাকায় তাঁকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বিশেষ তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে ২৬ মে নেগ্রিমস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ছাড়পত্র দেয়। পরে তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।
গত ১০ মার্চ উত্তরা থেকে নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে খোঁজ মেলে সালাহ উদ্দিনের। ১২ মে সালাহ উদ্দিনকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন তাঁকে উদ্ধার করে একটি মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। এদিনই বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করায় ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় পুলিশ।
এরপর সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলংয়ের নেগ্রিমস হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গত শুক্রবার শিলংয়ের একটি আদালতে তাঁর পক্ষে জামিন আবেদন করেন তাঁর স্ত্রী। এ বিষয়ে ২৯ মে পুলিশকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত।