বিমানে ল্যাপটপ নিষিদ্ধ হলো কেন
জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা ল্যাপটপের ব্যাটারি থাকার স্থানে বোমা বহন করছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। জঙ্গিদের এই কৌশল ধরতে পেরে বিমানে চলার সময় যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
আজ বুধবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার আরব উপদ্বীপ (একিউএপি) গোপনে বোমা বহনের জন্য ল্যাপটপের ব্যাটারির জায়গাটি ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিল। বোমা বহনের এই কৌশল গত সপ্তাহে ধরে ফেলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা।
আল-কায়েদা ল্যাপটপের ব্যাটারি, ব্যাটারির স্থানে (বগি) এবং অন্য বাণিজ্যিক ইলেকট্রনিক যন্ত্র কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। এ কারণেই বিমানে বহনের সময় মুঠোফোনের চেয়ে বড় সব যন্ত্রই বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
মধ্যপ্রাচ্যের আটটি মুসলিম দেশসহ উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোর নাগরিকদের বিমানে চলার সময় ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি বহনের ক্ষেত্রে ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে জর্ডান, মিসর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ওই সমস্ত দেশের নাগরিকরা এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ফ্লাইটে ল্যাপটপ, আইপ্যাড এবং লাগেজের মধ্যে ক্যামেরাসহ কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি বহন করতে পারবেন না।
ওই দেশগুলোর ১০টি বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া বিরতিহীন ফ্লাইটগুলোতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ধারণা করা হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার জর্ডানের রয়্যাল এয়ারলাইনস এক টুইটবার্তায় জানায়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আমাদের প্রিয় যাত্রীদের জানাচ্ছি যে, যুক্তরাষ্ট্রে আসা-যাওয়া করা ফ্লাইটগুলোতে যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক বা ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি বহন পুরোপুরি নিষিদ্ধ।’