অ্যাসাঞ্জবিরোধীদের পরাজয়
ক্ষমতায় বসার ৩০ দিনের মধ্যে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে আলোচিত সাংবাদিক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে উৎখাত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইকুয়েডরের বিরোধী দলের নেতা গুয়েলার্মো লাস্যো। কিন্তু কাজ হয়নি। লাস্যোর দল ‘ক্রিয়েটিং অপরচিউনিটিস’ পরাজিত হয়েছে নির্বাচনে।
বিষয়টি জেনে সঙ্গে সঙ্গে টুইট করেছেন অ্যাসাঞ্জ। উইকিলিকসের প্রধান নির্বাহী সেখানে লিখেছেন, ‘আগামী ৩০ দিনের মধ্যে লাস্যোকে ইকুয়েডর ত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করব।’
বিবিসি জানিয়েছে, ইকুয়েডরের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। আবার ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে লেনিন মোরেনোর সোশালিস্ট পার্টি। ৯৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে সোশালিস্ট পার্টি পেয়েছে ৫১ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে লাস্যোর দল পেয়েছে ৪৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ ভোট।
তবে ভোটের ফল এখনই মেনে নিচ্ছেন না লাস্যো। তিনি কারচুপির অভিযোগ এনেছেন এবং পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানিয়েছেন। নিজের সমর্থকদের রাস্তায় অবস্থান করে প্রতিবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে আবার ক্ষমতায় আসছে সোশালিস্ট পার্টি। এবার দলটির নেতৃত্বে আছেন লেনিন মোরেনো। রাফায়েল কোরিয়া যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন মোরেনো ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। ভোটে জিতে এবার তিনিই প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
২০১২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন অ্যাসাঞ্জ। রাফায়েল কোরিয়াই ওই ব্যবস্থা করে দেন। তবে লাস্যো ও তাঁর দল এ বিষয়টির বিরোধিতা করে। লাস্যো তো ঘোষণাই দেন, ক্ষমতায় এলে ৩০ দিনের মধ্যে অ্যাসাঞ্জকে উৎখাত করবেন। কিন্তু লাস্যোর এ আশা পূর্ণ হলো না এবারও।
অ্যাসাঞ্জের উইকিলিকস একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক বিকল্প গণমাধ্যম সংস্থা। ২০০৬ সালে সংস্থাটি চালু হয়েছে। যাত্রার শুরু থেকেই বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য দলিল, অপ্রকাশিত সূত্র প্রকাশ করে।