প্রধানমন্ত্রী কড়া নাড়লেও দরজা খুললেন না যুবক
দরজার কড়া নাড়ছেন কেউ। বাড়ির ভেতরে আছেন ডেভিন ব্রায়ান (২৯) নামে এক ভদ্রলোক। জানালায় উঁকি দিয়ে দেখলেন দরজার ওপাশে দলবল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে!
তাতে কী? ব্রায়ান কোনো সাড়াই দিলেন না। এক পর্যায়ে কড়া নাড়া শেষ হল। দলবল নিয়ে ফিরে গেলেন টেরিজা মে। আর ব্রায়ানের ডাকবাক্সে রেখে গেলেন কিছু প্রচারপত্র। ব্রায়ান জানালেন, রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে চাইছিলেন না তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান জানিয়েছে, ব্রিটেনের সাউদাম্পটনে এ ঘটনা ঘটে। আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন টেরিজা মে। আর জনসংযোগের জন্য তিনি দলবল নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন।
টেরিজা মের আসা এবং দরজায় কড়া নেড়ে চলে যাওয়া পুরো বিষয়টি ব্রায়ানের সিসিটিভি ফুটেজে ধারণ করা হয়। যা পরে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তিনি।
ব্রায়ান এখন বেকার। কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ করে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘তাঁর (মে) সঙ্গে কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলাম। আমি রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলাম না। তাঁর (মে) সঙ্গে কথা বলার মতো কিছু ছিল না আমার কাছে। আমি তাঁর সময় নষ্ট করতে চাইনি।’
ব্রায়ান বলেন, ‘আমি আগেই ঠিক করেছিলাম, তাঁরা (রাজনীতিবিদ) এলে আমি দরজা খুলব না। পরে জানালা দিয়ে দেখলাম প্রধানমন্ত্রী চলে যাচ্ছেন।’
‘স্ক্রিনরাইটিং’-এর ওপর একটা ডিগ্রি আছে ব্রায়ানের। তিনি জানালেন, কয়েক বছর ধরে সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেন না তিনি। তবে ব্রেক্সিটের সময় ভোট দিয়েছিলেন।
রাজনীতিবিদ বা টেরিজা মে এর ব্যাপারে উদাসীনতা দেখালেও কারো সঙ্গেই কথা বলবেন না এমন কিন্তু বলেননি ব্রায়ান। তিনি জানালেন, লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন হলে তিনি কথাবার্তা চালাতেন। বোঝাই গেল, দরজার কড়াটা মে না নেড়ে করবিন নাড়লে খুলে যেত।