ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির কাছাকাছি ছয় দেশ!
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর ছয় দেশ ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে চলা ‘পরমাণু চুক্তি আলোচনা’ শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিবিসি আজ শনিবার জানায়, উভয় পক্ষই পরমাণু চুক্তি সম্পাদনের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে গঠিত সংগঠন পি-৬ ইরানের সঙ্গে এমন একটি চুক্তিতে যেতে চাইছে, যার আওতায় তেহরান অন্তত আগামী ১০ বছর পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারবে না। তবে নির্দিষ্ট এই সময়ের পর দেশটি আবার এর পারমাণবিক কর্মসূচি চালাতে পারবে।
২০০৮ সাল থেকে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য কয়েকবারই চূড়ান্ত সময়সীমা পার হয়ে গেছে। নতুন করে আবারও ৭ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়। এখন চুক্তির জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো।
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় পরমাণু আলোচনায় অংশ নেওয়া ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ ইউটিউবে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন, ‘আলোচনার এ চূড়ান্ত মুহূর্তে এখনো কিছু মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা কখনোই স্থায়ী ফলাফলের এত কাছাকাছি পর্যায়ে যেতে পারিনি।’ তিনি বলেন, আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতির জন্য সমঝোতা, আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতা প্রয়োজন। তবে তিনি একটি সমতাপূর্ণ চুক্তির জন্য তাঁর দেশ সব সময় প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জারিফ গতকাল শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে কেরি কিছু জটিল বিষয় থাকা সত্ত্বেও অগ্রগতির বিষয়ে সকল পক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
তবে জারিফ পি ৬-এর দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেছেন, এখনো সফলতার তেমন কোনো গ্যারান্টি নেই। তিনি ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস জিহাদিদের তৎপরতার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সহিংস চরমপন্থা ও উচ্ছৃঙ্খল বর্বরতা বিশ্বের জন্য ক্রমবর্ধমান এক অভিন্ন হুমকি।
একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানায়, সবকিছু মিলিয়ে পরমাণু আলোচনা শেষ পর্যায়ে আছে। গত কয়েকদিনে অগ্রগতি হয়েছে অনেক তবে এখনো বড় কিছু বিষয় রয়েছে সেগুলোর সমাধান হয়নি। বেশ কিছু বিষয়ে সমাধান হওয়া সত্ত্বেও চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারার বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, সকল বিষয়ে সম্মত না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না চূড়ান্ত সমঝোতা হয়েছে।