সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলোর দাবি অযৌক্তিক : কাতার
কূটনৈতিকসহ সব ধরনের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে চার আরব দেশ যেসব দাবি করেছে, সেগুলোকে অযৌক্তিক বলে আখ্যা দিয়েছে কাতার।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কাতার নিউজ এজেন্সির (কিউএনএ) এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কিউএনএর খবরে বলা হয়, ২২ জুন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৩টি দাবিসংবলিত তালিকাটি পায়। এগুলো আমলে নেওয়ার মতো নয় বলে মনে করছে দেশটি।
শুক্রবার কাতার সরকারের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক শেখ সাইফ বিন আহমেদ আল থানি এক বিবৃতিতে বলেন, এই দাবিগুলোর মধ্য দিয়ে কাতার শুরু থেকে যা বলে আসছিল, তা-ই আরো স্পষ্ট হলো। অর্থাৎ, অন্যায্য অবরোধের মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই চালানো যাবে না। এর মধ্য দিয়ে কাতারের সার্বভৌমত্ব ও পররাষ্ট্রনীতির ওপর বিদেশি হস্তক্ষেপ হচ্ছে।
বিবৃতিতে সাইফ আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন অবরোধকারী দেশগুলোকে অভিযোগের তালিকা তৈরি করতে বলেছিলেন। সেই অভিযোগগুলো যৌক্তিক এবং আমলযোগ্য হওয়ার তাগিদ দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনও বাস্তবিক অভিযোগের কথা বলেছিলেন। কিন্তু এই তালিকায় সে বিষয়টি উঠে আসেনি।
বাস্তবিক অভিযোগের কথা বলেছিলেন। কিন্তু এই তালিকায় সে বিষয়টি উঠে আসেনি।
সন্ত্রাসে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগে ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বাহরাইন, মিসরসহ সাতটি দেশ। এরপর গতকাল শুক্রবার সৌদির জোট কাতারকে ১৩ দফা দাবি দেয়। এর মধ্যে আছে কাতারের রাজধানী দোহাভিত্তিক টেলিভিশন আলজাজিরা বন্ধ করা, দেশটিতে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করা ও ইরানের সম্পর্ক সম্পর্ক কমানোর বিষয়গুলো। এই দাবিগুলো বাস্তবায়নে ১০ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।