আমিরাতে সঙ্গ দিলে তরুণীকে টাকা ও মিষ্টি দেওয়ার প্রস্তাব
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক পাকিস্তানি যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় আদালতে মামলা করা হয়েছে।
চলতি বছরের জুন মাসে দুবাইয়ে আল কারামা জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রী তার বাড়িতে ঢোকার সময় পঁচিশ বছর বয়সী এক পাকিস্তানি যুবক তাকে অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে যুবক তার পথ আগলে দাঁড়ায় এবং তাঁকে সঙ্গ দিলে টাকা ও মিষ্টি দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
মেয়েটি তার প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে বাড়ির ঢুকতে চাইলে যুবক তার পথ আগলে দাঁড়ান। মেয়েটিকে লিফটে উঠতে না দিয়ে তার শরীর স্পর্শ করেন।
অভিযুক্ত যুবক আত্মপক্ষ সমর্থন করে সোমবার দুবাই আদালতকে বলেন, ‘আমি তাকে থামাই আর হাই-হ্যালো বলি। আমি তাকে মোটেও উত্ত্যক্ত করিনি।’
এ সময় বিচারক উরফান ওমর তাঁর কাছে ওই মেয়েটিকে আগে থেকে চেনে কি না জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি খারাপ কিছুই করিনি। আমি তার সাথে শুধু হাই-হ্যালো করেছি। এ সময় তার শরীরের আমার হাত লেগে যায়। তবে উত্ত্যক্ত করার কোনো ইচ্ছে আমার ছিল না।’
ঘটনার শিকার তরুণী কৌঁসুলিকে জানায়, আল কামরার কাছের একটি ভবনে ওই যুবক তার পিছু নেয়। ভবনে ঢোকার সময়ও তরুণ তাঁকে অনুসরণ করতে থাকেন এবং সিঁড়ি বা লিফট ব্যবহার করে বাসায় যেতে বাধা দেন। এরপর ওই যুবক তাঁকে সঙ্গের বিনিময়ে টাকা ও মিষ্টি দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
তরুণী বলেন, ‘কয়েকদিন পর তিনি (পাকিস্তানি যুবক) আবার আমাকে অনুসরণ করেন। আমার রাস্তা আটকে দাঁড়ান। আমাকে আবারও তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। আমি তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তিনি আমার বাহু স্পর্শ করে সেখান থেকে চলে যান। আমি বাসায় ফিরে ঘটনাটি আমার বাবা মাকে বলি।’
মামলার নথি থেকে আরো জানা যায়, এরপর ওই ছাত্রীর বাবা এ ঘটনা পুলিশকে জানান এবং ওই ভবনে থাকা ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখেন। ওই ফুটেজে দেখা যায়, পাকিস্তানি যুবক মেয়েটির পিছুপিছু হাঁটছেন, আর মেয়েটি তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে।
আদালত এ বিষয়ে ২৭ জুলাই রায় দিতে পারেন বলে জানা গেছে।