এসি থেকে সাবধান!
তাতানো গরমে একটু শান্তি পেতে আজকের দিনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) ব্যবহার দিনকে দিন বাড়ছে। তবে এই শান্তি নাকি দীর্ঘমেয়াদি অশান্তিতে পরিণত হতে পারে। ডেকে আনতে পারে কঠিন সব রোগ। এমনটাই বলছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নামিদামি চিকিৎসকরা।
জিমি জোসেফ নামে ইউএইর ইউনিভার্সাল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি এসি ব্যবহারের প্রভাবে শরীরে নানা ধরনের ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে। যদিও আজকের দিনে অনেকেই এসি ছাড়া থাকতে পারেন না। তাই এই বিলাসিতা ঝুঁকি নিয়েও তাদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। কারণ বাসা, অফিস, গাড়ি ও বিপণিবিতানগুলোতে সব সময় এসির ভেতরে থাকলে নানা রকম সংক্রমণ হতে পারে।
জিমি জোসেফ আরো বলেন, এসির ব্যবহার বাতাসের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। এতে শরীর শুষ্ক হয়ে পড়ে। যাঁদের বাতের সমস্যা আছে, তাঁরা গুরুতর সমস্যায় পড়তে পারেন। তীব্র আকার ধারণ করতে পারে শরীরের বিভিন্ন সন্ধিস্থলের ব্যথা। কারণ উচ্চ তাপমাত্রা বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ঠান্ডা আবহাওয়াও ঘটাতে পারে ঠিক উল্টোটা।
এ ছাড়া এসির প্রভাব শরীরে প্রচণ্ড ক্লান্তি আনতে পারে। যারা এসির মধ্যে থাকতে অভ্যস্ত, তারা হঠাৎ গরম আবহাওয়ায় গেলে শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি ডেকে আনে। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
বুরজিল হাসপাতালের চিকিৎসক ত্রিলোক চাঁদ এ বিষয়ে বলেন, অতিরিক্ত এসির ব্যবহার হাঁপানি ও ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের মাত্রাই শুধু বাড়িয়ে দেয় না, বরং এর সংক্রমণও ঘটায়। কারণ এসির বায়ু চলাচল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব রোগের জীবাণু একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়ে।
ত্রিলোক আরো বলেন, এসির তাপমাত্রা ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে ঝুঁকির মাত্রা কম থাকে। ২০-এর নিচে নামলেই বাড়ে রোগ-বালাইয়ের শঙ্কা।