রামদেব বললেন, আমি বিজ্ঞানী বাবা

নিজেকে বিজ্ঞানী বাবা (সন্ন্যাসী) বলে দাবি করেছেন ভারতের বিখ্যাত যোগগুরু রামদেব। দেশটির গ্রাম এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (আইআইটি) সঙ্গে ভারত সরকারের একটি প্রকল্প থেকে রামদেবকে বাদ দেওয়া সম্পর্কে এনডিটিভির একটি প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
গত জানুয়ারি মাসে সরকারের ‘উন্নত ভারত যোজনা’ শীর্ষক প্রকল্পের বৈঠকে বাবা রামদেবের পতঞ্জলী পিঠ, ধর্মীয় সংস্থা গায়ত্রী পরিবার, স্বামী সমপূর্ণানন্দ, স্বামী মুক্তানন্দ, স্বামী রাজেন্দ্র দাস, স্বামী বিশুধানন্দ এবং বানভাসি কল্যাণ আশ্রমকে যুক্ত করে আইআইটি। এগুলো হলো বিজেপির মতাদর্শগত পরামর্শদাতা রাষ্ট্রীয় সমাজসেবক সংঘের উপশাখা।
দিল্লির উপকণ্ঠের একটি বিলাসবহুল খামারবাড়িতে বসে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনডিটিভিকে বাবা রামদেব বলেন, ‘আমি এজন কৃষকের বাড়িতে জন্মেছিলাম। এবং আমরা যে কাজ করেছি তা হলো যোগব্যায়ামের সঙ্গে বিজ্ঞানকে সংযুক্ত করেছি। আপনি আমাকে উদ্ভিদবিদ্যা বা চিকিৎসাবিজ্ঞান সম্পর্কেও প্রশ্ন করতে পারেন।’
রামদেব আরো জানান, তাঁর প্রতিষ্ঠান ফসল প্রক্রিয়াজাতকরণের একটি পদ্ধতি চিন্তা করেছে, যা কৃষকদের উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে।
সরকারের উন্নত ভারত প্রকল্পে বাবা রামদেবের পক্ষ থেকে ২০০ কোটি রুপি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামদেব বলেন, ‘আপনি কেবল মাত্র ২০০ কোটি রুপির কথা বলছেন। আমি এরই মধ্যে কৃষকদের সহায়তা করতে এই প্রকল্পে ৫০০ কোটি রুপি ব্যয় করে ফেলেছি।’
এর আগে রামদেবের দেওয়া বেশ কিছু পরামর্শ দৃশ্যত অবৈজ্ঞানিক ছিল। যেমন : তিনি সমকামিতা নিরাময়ের ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করেছিলেন। এ ছাড়া তাঁর প্রতিষ্ঠান এমন একটি ওষুধ আবিষ্কারের দাবি করে, যা সেবন করলে ছেলেসন্তান জন্মের নিশ্চয়তা রয়েছে।
এর আগে রামদেব বলেছিলেন, ‘আমার সব কাজ বিজ্ঞানসম্মত, সার্বজনীন এবং ধর্মনিরপেক্ষ।’ তবে এ ধরনের বক্তব্যকে এখন অস্বীকার করছেন তিনি।
বাবা রামদেব স্বভাবসুলভভাবে বেশ স্পষ্টবাদী। অতীতে তিনি বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোলাখুলিভাবেই সমর্থন দিয়েছেন। তবে যখন মোদি সরকারের বর্তমান কার্যক্রম মূল্যায়ন করতে বলা হয়, তখন নীরব হয়ে যান এই সরব সন্ন্যাসী। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে বাবার কোনো মন্তব্য নেই।’
পরেরামদেব ব্যাখ্যা করেন, ‘কোথাও কেলেঙ্কারি হওয়াই উচিত না। সবকিছু স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আমি কোনো বিবৃতি দিয়ে বিপদ ডেকে আনতে চাই না।’