টুইন টাওয়ারে হামলার সময় কেমন ছিল হোয়াইট হাউস
২০০১ সালে টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে বিমান হামলার পর কেমন ছিল হোয়াইট হাউসের চিত্র? সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের সূত্রে সে সময়ের দুর্লভ কিছু ছবি প্রকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
ছবির সঙ্গে হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সূত্রে সেই সংকটকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ভবনের অভ্যন্তরের কর্মকাণ্ডেরও বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, নিউইয়র্কের জোড়া টাওয়ারে হামলার পরপরই সে সময়কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কন্ডোলিৎসা রাইসকে বিশেষ হেলিকপ্টারে করে জরুরি নিয়ন্ত্রণকক্ষে নিয়ে আসা হয়।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সকালবেলা চারটি মার্কিন যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে মার্কিন মুলুকে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। দুটি বিমান নিয়ে টুইন টাওয়ার আর একটি বিমান নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে হামলা চালানো হয়েছিল। আর চতুর্থ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল পেনসিলভেনিয়ার আকাশে। ভয়াল সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন দুই হাজার ৯৯৬ জন মানুষ।
সকাল ৯টায় দুটি বিমান যখন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর ও দক্ষিণ টাওয়ারে আঘাত হানে তখন প্রেসিডেন্ট বুশ ফ্লোরিডায় একটি স্কুল পরিদর্শন করছিলেন। হামলার পরপরই তাঁকে হোয়াইট হাউসের জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়। হোয়াইট হাউসের দাবি অনুযায়ী ভবনের পূর্ব দিকে তৈরি জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষটি হলো সর্বোচ্চ সুরক্ষাবিশিষ্ট অত্যাধুনিক একটি পরিচালনা কেন্দ্র- যাতে বসে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে যুদ্ধ পরিচালনা করা যায়। এমনকি পারমাণবিক হামলা হলেও ওই কক্ষটির কোনো ক্ষতি হবে না বলে দাবি করে হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য জানার অধিকার আইনে হলিউডের যুদ্ধবিষয়ক ছবির নির্মাতা নেইরোজ হান্না এই ছবিগুলো দেখার জন্য আবেদন করে। আর তারপরই ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির নিজস্ব চিত্রগ্রাহকের তোলা ছবিগুলো জনসম্মুখে আসে।