আবদুল কালামের মরদেহ নয়াদিল্লিতে, প্রণব-মোদির শ্রদ্ধা
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞানী ড. এ পি জে আবদুল কালামের মরদেহ একটি বিশেষ বিমানে করে গৌহাটি থেকে নয়াদিল্লিতে নেওয়া হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর মরদেহ গ্রহণ করেন। তাঁরা সাবেক রাষ্ট্রপতির মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সেনা, নৌ ও বিমান—এই তিন বাহিনীর প্রধানরা তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পার্লামেন্টে বিশেষ অধিবেশনে ‘মিসাইল ম্যান’ খ্যাত এই বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
urgentPhoto
দিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে ত্রিরঙা পতাকায় মোড়া আবদুল কালামের কফিন একটি গাড়িতে করে তাঁর বাসভবন ১০ রাজাজি মার্গে নেওয়া হয়। সেখানে বিকেল ৪টায় জনসাধারণ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। আগামী বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
গতকাল সোমবার শিলংয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে (আইআইএম) বক্তব্য দেওয়ার সময় এ পি জে আবদুল কালাম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
জনগণের রাষ্ট্রপতি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ডা. কালামকে শ্রদ্ধা জানাতে সাত দিনের শোক ঘোষণা করেছে ভারতের সরকার।
ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আবদুল কালাম।
‘মিসাইল ম্যান’ খ্যাত ড. আবদুল কালাম ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পরমাণু পরীক্ষায় মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি অগ্নি, পৃথ্বী, আকাশ, ত্রিশূল ও নাগ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেন, যা ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির দিক থেকে ভারতকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করে।
১৯৩১ সালে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে আবদুল কালামের জন্ম। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন চেন্নাইয়ের আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ে টেকনোলজি অ্যান্ড সোসাইটাল ট্রান্সফরমেশনের অধ্যাপক। দীর্ঘ চার দশক ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। যুক্ত ছিলেন ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের সঙ্গেও। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তাঁকে পদ্মভূষণ ও ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করে দেশটির সরকার।