ভারত-বাংলাদেশের নৌ সীমান্তে যৌথ অভিযান
ভারত-বাংলাদেশের নৌ সীমান্তে যৌথ অভিযান চালাবে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও পুলিশ। নৌ সীমান্তে অপরাধ দমন ও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধে এ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই বাহিনী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ ও বসিরহাটে দুই দেশের নৌ সীমান্তে এ অভিযান চলবে।
পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ১১ হাজার ৮০৫ কিলোমিটার এলাকা ভারত-বাংলাদেশ স্থলসীমান্ত। আর ১১ হাজার ৫০২ কিলোমিটার নৌ সীমান্ত। সীমান্তের এই বড় অংশ কার্যত অরক্ষিত থাকায় অনুপ্রবেশকারী, অপরাধী ও চোরাকারবারিরা এর সুযোগ নেয়। গরু পাচারের ক্ষেত্রেও পানিপথকে ব্যবহার করে পাচারকারীরা। গরু ও রাখালরা অনায়াসেই সাঁতরে সীমান্তের নদী পার হয়ে যায়।
উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী জানান, সীমান্ত এলাকার স্থল ও নদী সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে পুলিশের এক বৈঠকে যৌথ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগেও এ ধরনের অভিযান হয়েছে। এবার যৌথ অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। বর্তমানে সীমান্তের অপরাধীরা বেশির ভাগ সময় স্থলপথ বাদ দিয়ে নদীপথে সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একইভাবে বাংলাদেশ থেকে নদী সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটছে বলেও অভিযোগ আছে।
সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব মূলত বিএসএফের হাতে। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায়, কোনো অপরাধী তাড়া করলে সে রাজ্য পুলিশের এলাকায় ঢুকে পড়ে। তখন আইনমাফিক বিএসএফ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে না। তা ছাড়া সীমান্তের বাইরে পুলিশের সীমানা সম্পর্কে বিএসএফের অনেক সদস্যই ভালোভাবে জানে না। ফলে দুই বাহিনীর কাজের সীমানা নিয়ে অনেক সময়ই জটিলতা সৃষ্টি হয়।
এসব সমস্যার জন্যই বিএসএফ ও পুলিশ যৌথভাবে সীমান্তের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
এর আগেও সীমান্তে বিএসএফ ও পুলিশের যৌথ অভিযান হয়েছে। তবে এবারের অভিযান আরো জোরদার ও গতিশীল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে সীমান্তে তল্লাশির সময় বিএসএফের সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার্স পাঠানো হতো। এখন থেকে বিএসএফের সঙ্গে থাকবে পুলিশ। স্পিডবোট ব্যবহার করে নৌ সীমান্তে তল্লাশি চালাবে দুই বাহিনী।