শিক্ষামন্ত্রীর স্ত্রীর পরীক্ষার জন্য লোক ভাড়া
ভারতে কেন্দ্র সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দেশজুড়ে কত কাণ্ড। এর মধ্যেই স্ত্রীর পরীক্ষার জন্য ভুয়া পরীক্ষার্থী ভাড়া করে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করলেন ছত্তিশগড় রাজ্যের বিজেপির শিক্ষামন্ত্রী কেদার কাশ্যপ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের স্ত্রীর ইংরেজি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অন্য এক মহিলাকে ভাড়া নিয়েছিলেন। পরীক্ষার দিন বিষয়টি জানাজানি হতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ছত্তিশগড়ের শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যের বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা কেদারের স্ত্রী শান্তি কাশ্যপ জগদলপুরে সুন্দরলাল শর্মা ওপেন ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর পড়েন। মঙ্গলবার বস্তার জেলার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা ছিল তাঁর। পরীক্ষার খাতায় স্বাক্ষর করতে গিয়ে ওই কেন্দ্রের এক পরিদর্শকের সন্দেহ হয়। পরে তিনি দেখেন, প্রবেশপত্রে দেওয়া ছবির সঙ্গে পরীক্ষার্থীর ছবি মিলছে না। এর পরেই জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে, যিনি পরীক্ষা দিতে এসেছেন তিনি আসল লোক নন।
ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষক হেমরাও খারজের বরাতে এনডিটিভি আরো জানায়, জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ার পর পুলিশ ওই নকল পরীক্ষার্থীকে জেরা করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নকল পরীক্ষার্থী হলেন ভানপুরি জেলা থেকে আসা কিরণ মায়ুরা। যিনি আবার মন্ত্রীর দূরসম্পর্কের শ্যালিকা। আর তাঁকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ভাড়া করেছেন স্বয়ং কেদার কাশ্যপ।
এ ঘটনা জানাজানি হতেই গোটা রাজ্যেই সোরগোল পড়ে যায়। মধ্যপ্রদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এ ছাড়া এই ঘটনার জেরে তুমুল প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রতিপক্ষের কংগ্রেস নেতারা। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি টিএস সিংদেও বলেন, ‘তিনি ভেবেছিলেন জোচ্চুরি করেই তাঁর স্ত্রীকে পাস করাবেন। যে নিজের স্ত্রীর জন্য অসদুপায় অবলম্বন করতে পারেন, তাঁর কাছে কি আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নিরাপদ?’
ঘটনা জানার জন্য কেদার কাশ্যপকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। এর আগেও ব্যাপমসহ নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিলেন ছত্তিশগড়ের বিজেপির এই শীর্ষ নেতা।