যে ৫ উপায়ে সৃজনশীলতা বাড়াবেন
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী, উদ্ভাবক, প্রকৌশলী ইলন মাস্ক। সৃজনশীল প্রতিভার এক অন্যতম দৃষ্টান্ত তিনি। সম্প্রতি তিনি কর্মক্ষমতা, সৃজনশীলতা বাড়ানোর কিছু পরামর্শ দিয়ে তাঁর কর্মকর্তাদের বার্তা পাঠান।
বার্তায় ইলন মাস্ক সৃজনশীলতা বাড়ানোর পাঁচটি উপায় তুলে ধরেন। যে উপায়গুলো পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো :
১. ঘন ঘন সাক্ষাৎ না করা : খুব জরুরি না হলে কাজের সময় অফিসের বাইরে ঘন ঘন সাক্ষাতে না যাওয়াই ভালো। কাজের বাইরে অতিমাত্রায় সাক্ষাৎ বড় কোম্পানিগুলোর জন্য ক্ষতিকর। এতে সময় অনেক বেশি নষ্ট হয়। তাই সাক্ষাতের সঙ্গে যদি সবার স্বার্থ, কোম্পানির স্বার্থ জড়িত না থাকে, তাহলে সাক্ষাতের সময় দীর্ঘ না করাই ভালো।
২. মিটিং শেষে উঠে যাওয়া : কাজের কথা শেষ হয়ে গেলে মিটিং ত্যাগ করে উঠে পড়ুন। ফোনকলের ক্ষেত্রেও কাজ শেষে সমাপ্তি টানুন। জায়গা ছেড়ে দেওয়াটা বা চলে যাওয়াটা অভদ্রতা নয়; বরং অযথা কথা বলে কাউকে ধরে রাখা বা তার সময় নষ্ট করাটা অভদ্রতা। আর এতে কাজেরও কম সময় পাওয়া যায়। কর্মক্ষমতা কমে আসে।
৩. বিভ্রান্তিকর শব্দের ব্যবহার : কাজের সময় যে বিষয়গুলোর আসলে ব্যাখ্যা প্রয়োজন, সেগুলো সংক্ষেপে বললে সহকর্মীদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যাহত হয়। এতে সময় নষ্ট হয়। ফলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না। অনেকেরই শব্দের প্রথম অক্ষর বা সংক্ষিপ্ত নাম ধরে কথা বলার অভ্যাস থাকে। এর কারণে এ ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
৪. দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে আনুন : কোনো কাজ শেষ করার প্রক্রিয়াটা যতটুকু সম্ভব ছোট করে আনা উচিত। কাজটি যিনি করবেন এবং যিনি করাবেন, তার মাঝে যদি আরো অনেকে থাকেন, তাহলে যোগাযোগ ব্যাহত হয়। যেমন কোম্পানির বস একটা কাজ একজন কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি আরো দুজনকে বুঝিয়ে দিলেন। তারপর চতুর্থজন গিয়ে যিনি কাজটা করবেন, তাঁকে বিষয়টি বললেন। এতে করে প্রথমত, তথ্যটি বিকৃত হয়, সময় নষ্ট হয়, কাজের গুরুত্ব কমে যায়। কেননা, কোম্পানির বস যেই তথ্যটি দিলেন, চতুর্থজন একইভাবে তথ্যটি দিতে পারবেন না। আর কাজটি যত গুরুত্বপূর্ণই হোক, কার কাছ থেকে কাজ পাচ্ছে তার ওপরেও কর্মকর্তাদের কর্মক্ষমতা নির্ভর করে।
৫. সাধারণ জ্ঞানের ব্যবহার : কখনো কখনো প্রতিষ্ঠানের একনিষ্ঠ, নিয়ম মেনে চলা কর্মকর্তার জন্যও অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। সেই কর্মকর্তার নিজের কাজের সৃজনশীলতা কমে যায়, কোম্পানির ক্ষতি হয়।
ধরা যাক, একজন কর্মকর্তা কোম্পানির সব নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে মেনে কাজ করেন। কিন্তু কোম্পানির নিয়মগুলো পৃথিবীর সব বিষয় বা সমস্যা ভেবে নির্ধারণ করা হয় না। এমনও বিশেষ পরিস্থিতি আসতে পারে, যখন নিয়মের চেয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে সেই কর্মকর্তার সাধারণ জ্ঞান কাজে লাগাতে হবে। আবার এমনও হতে পারে, নির্ধারিত নিয়মের চাইতে নিজের অন্য নিয়মে কাজ করলে কাজটি তিনি আরো দ্রুত ও কার্যকরী উপায়ে করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রেও সাধারণ জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই। সাধারণ জ্ঞানের ব্যবহার করেও সৃজনশীলতা ও কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারেন একজন কর্মী।