সাংবাদিকের কারাদণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের অসন্তোষ
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার তিন সাংবাদিককে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়ায় গভীর উদ্বেগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘ভুয়া সংবাদ প্রচার ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহযোগিতা’ করার অভিযোগে গতকাল মিসরের একটি আদালত ওই তিন সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেন।
‘বিতর্কিত’ এই রায়ের পরই সারা বিশ্বে সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। সংবাদকর্মীদের পাশাপাশি এই রায়ের নিন্দায় সরব হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রও। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া মিসরের প্রতি এই রায় পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।
রায় ঘোষণার পর স্থানীয় সময় শনিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, রায় পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিতে আমরা মিসর সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ এ রায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খাটো করছে যা স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন।
সাজাপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা হলেন মিসরের বাহের মোহাম্মদ, কানাডিয়ান নাগরিক মোহাম্মদ ফাহমি ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক পিটার গ্রেস্ত। শেষের দুজন ভিন্ন দেশের নাগরিক হলেও মিসরীয় বংশোদ্ভূত।
আল-জাজিরা টেলিভিশনের ওই তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ-ঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডকে সাহায্য করার অভিযোগ তুলেছে মিসর। তবে বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন তাঁরা।
রায় ঘোষণার সময় মোহাম্মদ ফাহমি ও বাহের মোহাম্মদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর অভিযুক্ত অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক পিটার গ্রেস্ত চলতি বছরের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়া চলে যান। তিন বছরের সাজা ছাড়াও মোহাম্মদ ফাহমিকে পরিত্যক্ত বুলেটের খাপ বহনের অভিযোগে বাড়তি ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।