মার্কিন সামরিক একাডেমিতে বালিশযুদ্ধে ৩০ জন আহত!
ছোটকালে অনেকেই বালিশযুদ্ধ খেলেছেন। নরম বালিশ দিয়ে অন্যকে জোর করে আঘাত। এই নিছক মজার যুদ্ধের সর্বোচ্চ ফল অভিভাবকের শাসন। তবে মার্কিন সেনা একাডেমিতে বালিশযুদ্ধ নিয়ে যা ঘটেছে তা সব কিছুকে হার মানায়। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বালিশযুদ্ধে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ওয়েস্ট পয়েন্ট মিলিটারি একাডেমির রীতি অনুযায়ী প্রতিবছর প্রশিক্ষণ শেষে ক্যাডেটরা বালিশযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। কঠোর প্রশিক্ষণ থেকে মুক্তি এবং ক্যাডেটদের মধ্যে জোটবদ্ধ থাকা শেখাতেই নিছক বিনোদনের এই আয়োজন। ১৯৮৭ সাল থেকেই প্রশিক্ষণ শেষে ওয়েস্ট পয়েন্টে বালিশযুদ্ধের আয়োজন করা হয়।
ওয়েস্ট পয়েন্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, রীতি অনুযায়ী চলতি বছরও ২০ আগস্ট ওয়েস্ট পয়েন্টে প্রশিক্ষণ শেষে বালিশযুদ্ধের আয়োজন করা হয়। তবে কিছু ক্যাডেট বালিশের মধ্যে হেলমেটজাতীয় ভারী বস্তু ভরে নেয়। এমন বালিশের আঘাতে অনেকের ঠোট কেঁটে যায়, কারো হাড় ভাঙে, অনেকে ঘাড়ে আঘাত পান। আর এমন বালিশের আঘাতে অন্তত একজন জ্ঞান হারান। বালিশের আঘাতে মোট ৩০ জন ক্যাডেট আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৪ জনের আঘাত গুরুতর।
ওয়েস্ট পয়েন্ট মিলিটারি একাডেমি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। দেশটির সামারিক বাহিনীর অনেক শীর্ষ কর্মকর্তা এই কেন্দ্রেই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ক্যাডেট জানান, ভারী বালিশের আঘাত একজনের পা ভেঙে গেছে, অপর একজনের ঘাড় সরে গেছে। আর বালিশের আঘাতে অজ্ঞান হয়ে পড়া ক্যাডেটকে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
তবে ওয়েস্ট পয়েন্ট সামরিক মিলিটারি একাডেমির মুখমাত্র লে. কর্নেল ক্রিস্টোফার কাসকার বলেন, সব ক্যাডেটই দায়িত্বে ফিরে গেছে। তিনি আরো বলেন, এই ঘটনার তদন্ত চলছে।
মিলিটারি একাডেমি যতই রাখঢাক করুন, বালিশযুদ্ধে ৩০ জন আহত হওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন তুলেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক টাইমের কাছে বিষয়টি স্বীকার করে মিলিটারি একাডেমি।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে বালিশযুদ্ধে আহত হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১২ বিমানবাহিনী ক্যাডেদের মধ্যে বালিশযুদ্ধে একজন আহত হয়। একজন ক্যাডেট বালিশের মধ্যে লাঞ্চবক্স রেখে ভারী করায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার কারণে ২০১৩ সালে সেখানে বালিশযুদ্ধ বন্ধ রাখা হয়।