বসবাস অযোগ্য শহরের তালিকায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দামেস্কের পরই ঢাকা
বসবাসের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে অনুপযুক্ত শহরের তালিকায় সিরিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত শহর দামেস্কের পরই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান। অর্থনীতিবিষয়ক ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) বিশ্বব্যাপী চালানো বার্ষিক জরিপের ভিত্তিতে এ তথ্য জানায়। আর বসবাসের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত শহরের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা।
রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা, অপরাধ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের ১৪০টি শহরে ওই জরিপ চালানো হয়।
দামেস্ক ও ঢাকার পরে প্রথম পাঁচটি বসবাস অনুপযোগী শহরের তালিকায় এর পরে যথাক্রমে নাইজেরিয়ার শহর লাগোস, পাকিস্তানের করাচি ও পাপুয়া নিউগিনির শহর পোর্ট মোসবে।
সার্বিক দিক বিবেচনায় ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে দামেস্ক তালিকায় সবার তলানিতে জায়গা পেয়েছে। ৩৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে এর পরেই ঢাকার অবস্থান। সারা বিশ্বের বেশিরভাগ শহরেরই গত দুই বছরে জীবনযাত্রার মান আগের সময়ের চেয়ে ভালো হলেও নিম্নসারিতে স্থান পাওয়া ঢাকাসহ অন্য শহরগুলোতে বরং জীবনযাত্রার মান নেমে গেছে।
বিবিসি জানায়, বসবাসের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত শহর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। সার্বিক বিবেচনায় ৯৯ দশমিক ১ শতাংশ নম্বর পেয়ে ভিয়েনা শীর্ষ অবস্থান নিশ্চিত করে। ইআইইউর বার্ষিক জরিপে এই প্রথম ইউরোপের কোনো শহর এ তালিকায় এক নম্বর অবস্থান পেল।
২০১৮ সালে বসবাস উপযোগী অন্য শহরের তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন আছে দ্বিতীয় অবস্থানে, এটি গত সাত বছর টানা শীর্ষ অবস্থানে ছিল। এর পর যথাক্রমে প্রথম ১০টি শহরের তালিকায় আছে জাপানের ওসাকা, কানাডার ক্যালগেরি, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, কানাডার ভ্যানকুভার, জাপানের টোকিও, কানাডার টরন্টো, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডেলেইড।
ব্রিটিশ সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট জানায়, অপরাধ, নাগরিক অশান্তি, সন্ত্রাস বা যুদ্ধ—এসবের ওপর ভিত্তি করেই বসবাস অনুপযোগী হিসেবে ওপরের সারিতে কিছু শহরকে জায়গা দেওয়া হয়েছে।