পুরোনো মন্ত্রী-কর্মকর্তাদের সরালেন সৌদি বাদশাহ
সৌদি আরবের মন্ত্রিসভা ও প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদলের ঘোষণা হয়েছে। তবে অপরিবর্তিত থাকছে তেল, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ গতকাল বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, নিজের ক্ষমতা সুদৃঢ় করতেই নতুন বাদশাহ এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।
মন্ত্রিসভা ও প্রশাসনে রদবদলের কারণ হিসেবে বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তেলের মূল্য পড়ে যাওয়া রোধ ও জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হুমকি মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতেই এ পরিবর্তন।
চলতি মাসে বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদের মৃত্যুর পর বাদশাহ হন সালমান।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, বাদশাহ ১২টি প্রশাসনিক পদ বিলুপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন। এসব পদ থেকে জ্বালানি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতের নীতিনির্ধারণ করা হতো।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, বাদশাহ সালমান গোয়েন্দাপ্রধান খালিদ বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ এবং প্রয়াত বাদশাহর উপদেষ্টা ও জাতীয় প্রতিরক্ষা পরিষদের মহাসচিব বান্দার বিন সুলতানকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া প্রয়াত বাদশাহর দুই ছেলে, মক্কার গভর্নর মিশাল ও রিয়াদের গভর্নর তুর্কিকেও বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রায় দুই লাখ সেনাসদস্যের ন্যাশনাল গার্ডের দায়িত্বে থাকা প্রয়াত বাদশাহর অপর ছেলে মিতেবকে স্বপদেই বহাল রাখা হয়েছে।
আবদুল্লাহ মারা যাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে সালমান তাঁর ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, বাদশাহর পক্ষ থেকে তেলমন্ত্রী আলী আল-নাইমিকে রাখার পক্ষে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সাম্প্রতিক তেলের মূল্য পড়ে যাওয়ার জন্য অনেকে তাঁকেই দায়ী করেন।
এক টুইটারবার্তায় বাদশাহ সালমান সৌদি জনগণের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের আরো সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে, আমার কোনো পদক্ষেপে আপনাদের ওপর কোনো অবিচার হবে না। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি যেন, আমি ও আপনারা ধর্ম ও দেশের সেবা করতে পারি।’