বিশ্বনেতাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে বললেন শেখ হাসিনা
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শুরুর কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই অধিবেশনে তিনি বিশ্বনেতাদের মুখের কথামতো অর্থ ছাড়তে বলবেন। গতকাল শুক্রবার ব্রিটেনভিত্তিক দৈনিক গার্ডিয়ানে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে গার্ডিয়ান।
চলতি বছর শেষ হচ্ছে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি)। এবার পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য শুরু হতে যাচ্ছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)। এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘে সম্মেলন শুরু হয়েছে। ঢাকায় দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা জানান, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টি নির্ভর করছে ধনশালী দেশ ও দাতাদের ইচ্ছার ওপর।
বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, ‘জাতিসংঘ যখন এসডিজি ঠিক করবে, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের একটা সুযোগ আসবে। তবে আমি এসব উন্নত দেশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে কথা বলব। মাঝেমধ্যে আমরা এ ধরনের বৈঠকে অংশ নিই, আমাদের অনেক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তবে বাস্তবতা হলো, এসব প্রতিশ্রুতি খুব কম পূরণ হয়।’ তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য নিরাপত্তাসহ আমাদের বিভিন্ন ইস্যু রয়েছে। এরই মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করতে পেরেছে এবং আমাদের মানুষ অন্তত দুই বেলা খাদ্য গ্রহণ করে। শিশুদের পুষ্টি নিয়ে আরেক ইস্যু রয়েছে।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘সুতরাং অবশ্যই আমি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে বলব, তাঁদের প্রতিশ্রুতি রাখতে। বিশ্বনেতাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা উচিত, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোর।’
এমডিজি অর্জনে সফলতা পাওয়া দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। ২০০০ সালে এমডিজি নির্ধারণ করার সময় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে একমাত্র শেখ হাসিনাই এবারের সম্মেলনে আছেন।
চলতি মাসে প্রকাশিত এমডিজি ফলাফলে দেখা যায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দারিদ্র্যের সূচকে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ, ২০০১ থেকে ২০১০ সালে মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার ৪০ শতাংশ কমেছে। স্কুলগামী বালকের চেয়ে এখন বালিকার সংখ্যা বেশি এবং ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য অর্ধেকে নেমে এসেছে।