দক্ষিণ-দক্ষিণ ত্রিমুখী সহযোগিতার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সম্ভাবনা, টেকসই উন্নয়ন ও সবার জন্য সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করতে দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ত্রিমুখী সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার ওপর উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্ভাবনা, টেকসই উন্নয়ন ও সকলের জন্য সম্মানজনক জীবন নিশ্চিত করতে দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ত্রিমুখী সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আসুন আমরা অঙ্গীকার করি।’ চীনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং ও জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এই গোলটেবিল বৈঠকের সহসভাপতিত্ব করেন। এ বৈঠকে বাংলাদেশ, মিসর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, নেপাল, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ১৮টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা টেকসই শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে পরিবর্তনশীল বিশ্ব নিরাপত্তা পরিস্থিতি, বিশেষত সহিংস চরমপন্থা, দক্ষিণে টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, গত এক দশকে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার ব্যাপ্তি বেড়েছে। কিন্তু এটিও বাস্তবতা যে, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা উত্তর-উত্তর সহযোগিতার বিকল্প হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার ধারণা সংহতি ও সমবেদনার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আয়তন, শক্তি অথবা উন্নয়নের মাত্রার দিক দিয়ে আমাদের দেশগুলোর মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে। তবে সাধারণত আমাদের সবার একই উন্নয়নের লক্ষ্য। আমরা একে অন্যের সঙ্গে এভাবে সফল উন্নয়ন সমাধানের পথগুলো বিনিময়, প্রচার ও পরিমাপ করতে পারি।’
এ বছরের শুরুতে ঢাকায় বাংলাদেশ দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা ও উন্নয়নের ওপর একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করেছিল। এই বৈঠকে দক্ষিণ-দক্ষিণ পদক্ষেপগুলোর জন্য অর্থায়ন ও দক্ষিণের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর প্রাধান্য দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রকৃতপক্ষে সঠিক পথেই চলছি। দক্ষিণের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের নতুন ধরন, বিনিয়োগ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আবির্ভূত হয়েছে।’