পেছাতে পারে মিয়ানমারের নির্বাচন!
পেছাতে পারে মিয়ানমারের বহুল কাঙ্ক্ষিত সাধারণ নির্বাচন। দীর্ঘ ২৫ বছর সামরিক শাসনের পর চলতি বছরের নভেম্বরে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশব্যাপী বন্যার কারণে বেশির ভাগ ভোটার এই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না-এমন আশঙ্কা করছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। আর এই কারণে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন স্থগিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করেছে কমিশন।
এদিকে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে আং সান সু চির নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) কমিশনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে কমিশনের অবস্থানের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছে ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি। মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন রয়টার্সকে জানিয়েছে, নির্বাচন পেছানোর বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়।
মিয়ানমারে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছেল ১৯৯০ সালে। সেই বছরের সাধারণ নির্বাচনে সু চির নেতৃত্বাদীন দল এনএলডি ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে। তবে দেশটির সামরিক জান্তা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে উল্টো সু চিকে বন্দি করে। চলতি বছরের সাধারণ নির্বাচনেও এনএলডি বড় রকমের জয় পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর দলটির বিজয়ের সম্ভাবনা বানচাল করতেই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন এনএলডির এক ঊর্ধ্বতন সদস্য উইন হেইন।
দলটির মন্তব্য, এ পরিস্থিতির মধ্যেও মিয়ানমারে এখনো নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। নির্বাচনী আইনেও এ ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। ফলে দেশজুড়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়াটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলেই ধারণা করা হচ্ছে।