এক কাপ কফি, বিনিময়ে একটি কবিতা!
কবির জিজ্ঞাসা ছিল, ‘একটি কবিতা বেচে কেনা যাবে পায়ের নূপুর?’ না, এখানে ‘বিক্রি’ শব্দটি না এলেও উঠে এলো ‘বিনিময়’ শব্দটি। একটি কবিতার বিনিময়ে আপনি পাচ্ছেন এক কাপ কফি!
শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হয়ে চলেছে ছয় বছর ধরে। আগামীকাল ২১ মার্চ, বিশ্ব কবিতা দিবস। বিশ্বের ৪০টির বেশি দেশে কফির দোকানগুলো তাঁদের ভোক্তাকে কবিতার বিনিময়ে কফি পান করাবে।
ছয় বছর ধরে চলছে ‘পে উইথ এ পোয়েম’ প্রকল্পটি। ডিজিটাল দুনিয়ায় যখন মুঠোফোন আর ওয়েবপেজে লেখালেখির জোয়ার, তখন কাগজ-কলমের সনাতন স্বাদ এনে দিতে বদ্ধপরিকর এ প্রকল্প।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লন্ডনের ১৫টি কফি হাউস এ ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে। যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড, নটিংহ্যাম ও লেইচেস্টার শহরের বেশ কয়েকটি কফি হাউস এই আয়োজনে সাড়া দেবে।
আর এই ইভেন্টে অংশ নিতে হলে ব্যক্তির বয়স হতে হবে আঠারোর ওপর। কাগজে লিখতে হবে মৌলিক কবিতা। কাগজের শীর্ষে লেখা থাকবে ‘পে উইথ এ পোয়েম’।
বিশ্ব কবিতা দিবসের আহ্বান, ‘হ্যাশট্যাগ পে উইথ এ পোয়েম’-এ যেন যোগ দেন সবাই। সব দেশেই এ উদ্যোগ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বাংলাদেশে কেউ এ আয়োজন করলে অন্তর্জালে ‘#পেউইথএপোয়েমবাংলাদেশ’ দিয়ে যাত্রা শুরু হতে পারে।
এই প্রকল্পের জনক খুচরো কফি বিক্রেতা জুলিয়াস মেনল ও সংগীতশিল্পী-গীতিকার টম ওডেল।
সংবাদমাধ্যম ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডকে টম ওডেল বলেছেন, ‘ইনস্টাগ্রামে যাঁরা আমাকে অনুসরণ করেন, তাঁরা সবাই জানেন, কাগজে-কলমের দাগ দেওয়ার সত্যিকার উকিল আমি।’
গত বছর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ন্যাশনাল লিটারেসি ট্রাস্ট (এনএলটি) এক প্রতিবেদনে জানায়, যেসব ছেলেমেয়ে পড়া ও লেখার সঙ্গে কম সম্পৃক্ত, তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি অধিক। প্রায় ৫০ হাজার ছেলেমেয়ের ওপর জরিপ চালিয়ে ওই তথ্য উদঘাটিত হয়।
ডিজিটাল দুনিয়ায় কাগজ-কলমে লেখার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে কবিতার বিনিময়ে কফির উদ্যোগ অনেকের প্রশংসা পাচ্ছে।