সিনেটে নাটকীয় ভোটে হেগসেথই ট্রাম্পের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে চূড়ান্ত নিয়োগ পেয়েছেন ফক্স নিউজের সাবেক কো-হোস্ট পিট হেগসেথ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পছন্দের প্রার্থী হলেও সিনেটের অনুমোদন পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে। কারণ তার বিরুদ্ধে ছিল কর্মক্ষেত্রে যৌন নিপীড়ন, অতিরিক্ত মদ পানসহ বেশকিছু অভিযোগ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে সিনেটে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে পিট হেগসেথের নিয়োগ চূড়ান্ত হয়। খবর এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রের ১০০ সিনেটরের মধ্যে হেগসেথ পান ৫০ ভোট। অন্যদিকে তার বিপক্ষে ভোট দেন বাকি সিনেটররা। পক্ষে-বিপক্ষে সমান ভোট পড়ায় ফলাফল ঘোষণায় জটিলতা তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য হেগসেথের পক্ষে ভোট দিতে হয় ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সকে।
ডেমোক্র্যাট ও স্বতন্ত্রদের পাশাপাশি ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানের তিন সদস্যও হেগসেথের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। নবনিযুক্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সিনেটে এমন ফলাফল বিশেষ উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। কারণ এমন এক সময়ে তিনি পেন্টাগনের (যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাবিষয়ক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু) দায়িত্ব নিচ্ছেন, যখন ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। যদিও সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতি পালন শুরু করছে হামাস-ইসরায়েল।
এদিকে, ভোটের ফলাফল পাওয়ার পর শুক্রবার ডোনাল্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চমৎকার একজন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেয়েছি। তাকে (হেগসেথ) ভোট দেওয়ার জন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা পিটকে পেয়ে সম্মানিত হয়েছি। আমি পিটের সঙ্গে কথা বলেছি, সে একজন চমৎকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হবেন বলে মনে করি।’
৪৪ বছর বয়সী হেগসেথ সাবেক আর্মি ন্যাশনাল গার্ডের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ফক্স নিউজে কো-হোস্ট হিসেবে কাজ করতেন। তবে গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরপরই ট্রাম্প তার প্রশাসনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে পিট হেগসেথকে মনোনীত করেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে যৌন নিপীড়ন, অতিরিক্ত মদ পানসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠতে শুরু করে।
হেগসেথের সমর্থকদের মতে, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন যে কারও থেকে হেগসেথ এই দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারবেন। আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে হেগসেথ যে দক্ষতা অর্জন করেছেন, তা প্রতিরক্ষা বিভাগের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
ট্রাম্পের মনোনয়ন পাওয়ার পরপরই সেনাবাহিনীকে ‘ঘাতক’ হিসেবে এবং পেন্টাগনের ‘যোদ্ধা সংস্কৃতি’ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন হেগসেথ।