আসাদের মস্কো সফরে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের রাশিয়া সফরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র আসাদকে ‘লালগালিচা’ সংবর্ধনা দেওয়ায় মস্কোর সমালোচনা করেছেন।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিমান হামলা শুরুর তিন সপ্তাহ পর বুধবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট মস্কো সফরে যান। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার পর এটাই প্রথম বিদেশ সফর আসাদের। যুদ্ধে এ পর্যন্ত আড়াই লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মস্কো পৌঁছে বাশার আল-আসাদ সংঘর্ষে সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য রাশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সিরিয়ায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ফলে সন্ত্রাসবাদ আরো বেশি ছড়িয়ে পড়া বন্ধ হয়েছে।’
এদিকে, সব রাজনৈতিক শক্তি, বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হবে বলে আশা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র এরিক শুল্টজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মনে করি, লালগালিচা সংবর্ধনা পাওয়া আসাদ, যিনি তাঁর নিজের লোকজনের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন, সিরিয়ায় রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য রাশিয়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ায় পুতিনের সফর আশ্চর্যের বিষয় নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের জায়গা হচ্ছে সিরিয়াকে রাশিয়ার অব্যাহত সামরিক সহায়তা, যার ফলে আসাদ সরকার শক্তিশালী হয়েছে। এটা দেশটির গৃহযুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করবে।’
আসাদের আকস্মিক সফরের পর ভ্লাদিমির পুতিন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। এর মধ্যে সৌদি আরব, তুরস্কের নেতারা রয়েছেন। এ ছাড়া পুতিন কথা বলেছেন মিসর ও জর্ডানের নেতাদের সঙ্গে।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু বলেন, আসাদের এ সফরের ফলে সিরিয়ার সরকারের কোনো বৈধতা থাকল না।
বিবিসি জানিয়েছে, এ সফরের মধ্য দিয়ে একটি বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকল না যে, পুতিন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের অবস্থান আরো শক্তিশালী করতে চান।