সুদানে বহু বিক্ষোভকারীর প্রাণহানি, বাড়ছে সংকট
সুদানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গত কয়েকদিনে ৬০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার পর আফ্রিকান ইউনিয়ন সুদানের সদস্যপদ সাময়িকভাবে বাতিল করেছে।
ইউনিয়ন বলছে, বেসামরিক নেতৃত্বাধীন একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন না করা পর্যন্ত সুদানকে ইউনিয়ন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং এটাই এ সংকট থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, রাজধানী খার্তুমে কয়েকদিন ধরে চলা বিক্ষোভে ৬১ জন নিহত হয়েছে বলে সরকার বলছে, তবে বিক্ষোভকারীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ডাক্তাররা বলছেন নিহতের সংখ্যা শতাধিক।
গত কয়েকদিনে সুদানে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিবর্ষণে ব্যাপক হতাহতের খবর আসতে থাকলেও কর্তৃপক্ষ তেমন কিছু বলেনি।
গত বুধবার খবর প্রকাশ পায় নিহতের সংখ্যা শতাধিক এবং খার্তুম শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নীল নদ থেকে বহু মৃতদেহ তোলা হয়।
এসএফ নামের আধাসামরিক বাহিনীর লোকেরা- যাদের আগে জাঞ্জাওয়িদ মিলিশিয়া বলা হতো, প্রায় জনশূন্য রাজধানীর রাস্তাগুলোতে টহল দিচ্ছে এবং বেসামরিক লোকজনকে আক্রমণ করছে।
সুদানের সামরিক কাউন্সিল বিক্ষোভকারীদের প্রতি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন কিন্তু বিরোধীদলীয় কর্মীরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
তারা বলছে, কর্তৃপক্ষ যেরকম সহিংস উপায়ে বিক্ষোভকারীদের দমন করার পথ বেছে নিয়েছে তাতে তারা এই সামরিক কাউন্সিলকে আর বিশ্বাস করতে পারছে না।
সামরিক কাউন্সিলের ডেপুটি প্রধান মোহাম্মদ হামাদান ওই দমননীতিকে সমর্থন করে বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দুর্বৃত্ত এবং মাদকব্যবসায়ীরা ঢুকে পড়েছে এবং তারা বিশৃঙ্খলা সহ্য করবেন না।
এদিকে শহরের বাসিন্দারা বিবিসিকে বলেছে, তারা আতঙ্কিত অবস্থায় রাজধানীতে বাস করছে। হাসপাতালগুলোর ডাক্তার ও নার্সরাও ভয়ে কাজ করতে আসছে না।
এরই মধ্যে আফ্রিকান ইউনিয়ন বলেছে, যত দিন বেসামরিক নেতৃত্বাধীন একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন না করা হচ্ছে তত দিন পর্যন্ত সুদানকে ইউনিয়ন থেকে সাসপেন্ড করাসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন অবিলম্বে হত্যাকান্ডগুলোর তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে।