ভারতীয় ‘গুপ্তচরের’ মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনা করতে পাকিস্তানকে নির্দেশ
ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা কর্মকর্তা কুলভূষণ যাদবকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনা করতে পাকিস্তানকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক আদালত।
আন্তর্জাতিক আদালত বলেন, কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড ততক্ষণ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না পাকিস্তান তাদের রায় আবার খতিয়ে দেখবেন এবং পুনর্বিবেচনা করবেন।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, ভারতের অভিযোগের সঙ্গে একমত হয়ে আন্তর্জাতিক আদালত জানান, সামরিক আদালতে সাজাপ্রাপ্ত নৌসেনা কর্মকর্তাকে কনস্যুলার অ্যাক্সেস না দিয়ে ভিয়েনা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান।
হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে রায়দানের সময় আদালত বলেন, তাঁর অধিকার সম্পর্কে কুলভূষণ যাদবকে জানায়নি পাকিস্তান।
রাষ্ট্রসংঘের আদালত বলেন, কুলভূষণ যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ করা, আটক আবস্থায় তাঁর সঙ্গে দেখা করা এবং তাঁর জন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার থেকে ভারতকে বঞ্চিত করেছে পাকিস্তান।
এই রায়কে পরিপূর্ণ জয় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কর্মকর্তারা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, কুলভূষণ যাদবকে কনস্যুলার অ্যাক্সেস দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক আদালত। কোনো সন্দেহ নেই, এটা ভারতের বিশাল জয়।
২০১৬-এর মার্চে ৪৯ বছর বয়সী কুলভূষণকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনে তারা, যদিও তা খারিজ করে দেয় ভারত। এক বছর পর, কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেন পাকিস্তানের সামরিক আদালত।
তবে কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণার এক মাস পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে ভারত। ২০১৭-এর মে মাসে সেই সাজায় স্থগিতাদেশ আসে। পাকিস্তান দাবি করে, ২০১৬-এর ৩ মার্চ বেলুচিস্তান থেকে তাদের নিরাপত্তাবাহিনী কুলভূষণ যাদবকে গ্রেপ্তার করে।
ভারতের তরফে বলা হয়, ভারতীয় নৌবাহিনী থেকে অবসরের পর, ইরানে ব্যবসার কাজে গিয়েছিলেন কুলভূষণ যাদব। আর সেখান থেকে তাঁকে অপরহরণ করা হয়।