ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি, সীমান্তে আতঙ্ক

সপ্তাহব্যাপী উত্তেজনার পর লেবানন সীমান্ত বরাবর ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়েছে। এতে সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং এ ঘটনার পর পরই বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ জানায়, হিজবুল্লাহ তাদের সেনা সদর দপ্তর ও সামরিক অ্যাম্বুলেন্স লক্ষ্য করে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী দুই বা তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রোববার কামান হামলা চালিয়ে এর জবাব দেওয়া হয়।
হিজবুল্লাহর হামলায় সামরিক গাড়ির ভিতরের ব্যক্তিরা হতাহত হয়েছে বাহিনীটির এমন দাবি নাকচ করে দিয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, হিজবুল্লার হামলায় কেই হতাহত হয়নি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছে দেশটি। এ ক্ষেত্রে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
জাতিসংঘ সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং ফ্রান্স উত্তেজনা কমাতে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করছে। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে ইরানের ভূমিকা প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন রয়েছে।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড থেকে হিজবুল্লাহর বিরত থাকা উচিত। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে লেবাননের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
এর আগে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে তাদের দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।