শিরশ্ছেদকারী জিহাদি জন নিহত : যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, মার্কিন ড্রোন হামলায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর সদস্য ‘জিহাদি জন’ নিহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে দেশটি যুক্তিসঙ্গত কারণে নিশ্চিত বলেও জানানো হয়।
গতকাল শুক্রবার মার্কিন সেনা কর্মকর্তা কর্নেল স্টিভ ওয়ারেন বলেছেন, বৃহস্পতিবার সিরিয়ায় রাক্কা শহরে অভীষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো সম্ভব হয়েছে। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা সফল হয়েছি, এটা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে সময় লাগবে।’
জিহাদি জনের আসল নাম মোহাম্মদ এমওয়াজি। তিনি কুয়েতের বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। তাঁকে পশ্চিমা নাগরিকদের শিরশ্ছেদ করতে কয়েকবার দেখা গেছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, এমওয়াজির ওপর হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত সঠিক।
বিবিসি জানিয়েছে, এমওয়াজির মৃত্যু আইএসের জন্য বড় আঘাত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। যদিও তিনি আইএসের বড় কোনো নেতা নন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে ক্যামেরন বলেন, হামলা সফল হয়েছে কি না সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। তবে এমওয়াজিকে ধরতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিটেন সার্বক্ষণিক কাজ করছে বলে জানান তিনি।
ব্রিটেনের ত্রাণকর্মী ডেভিড হেইনেস ও ট্যাক্সি-চালক অ্যালান হেনিংয়ের শিরশ্ছেদ করেন এমওয়াজি। এসব ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
হেইনেসের মেয়ে বেথানি বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে আমি স্বস্তি বোধ করছি। কারণ ভয়ংকর ভিডিওচিত্রে তাকে আর দেখা যাবে না।’ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আইএসের জঘন্য খেলায় সে ছিল দাবার গুটি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, হামলায় দুটি ড্রোন অংশ নেয় এবং গ্রিনিচমান সময় ২০:৫০ ঘণ্টায় হামলা চালানো হয়।
মার্কিন সাংবাদিক স্টিভেন সটলফ, ত্রাণকর্মী আবদুল-রহমান কাসিগ ওরফে পিটার ও জাপানি সাংবাদিক কেনজি গোতোর শিরশ্ছেদ করেন জিহাদি জন। পরে এসব ঘটনার ভিডিওচিত্রও প্রকাশ করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।