লন্ডনের প্রভাবশালী রাজনীতিকদের তালিকায় টিউলিপ সিদ্দিক
যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৯ সালে লন্ডনের প্রভাবশালী রাজনৈতিকদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। লন্ডনভিত্তিক ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ডের সাম্প্রতিক প্রকাশিত প্রগ্রেস-১০০০ প্রতিবেদন তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করে।
প্রগ্রেস-১০০০ তে ব্যবসায়, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, রাজনীতি, ডিজাইন, স্থাপত্যকলা, সংস্কৃতি এবং চারুকলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে লন্ডন শহরের সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রতি বছর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপকে ওয়েস্টমিনিস্টার ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ তালিকায় আরো আছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ডাচি অফ ল্যানকাস্টারের চ্যান্সেলর মাইকেল গভ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক ও শিক্ষামন্ত্রী গেভিন উইলিয়ামসনের মতো লন্ডনের রাজনীতিবিদরা।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য সন্তান জন্মদানের অস্ত্রোপচার পিছিয়ে বিশ্বব্যাপী সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্নের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।
তখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাধারণত কোনো এমপির সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় আসন্ন হলে বা সদ্যোজাত সন্তানের কারণে বা অসুস্থতার কারণে কোনো ভোটে অংশ নিতে না পারলে বিরোধী পক্ষেরও একজন সদস্য ভোটদান থেকে বিরত থাকতেন, যাকে ‘পেয়ার’ বলা হত। কারও অনুপস্থিতি যেন ভোটের ফলে প্রভাব ফেলতে না পারে, তাই ওই প্রথা।
২০১৫ সালের মে মাসে লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে এমপি হয়ে হাউজ অব কমন্সে গিয়ে প্রথম ভাষণেই নজর কাড়েন টিউলিপ সিদ্দিক। নিজেকে ‘একজন আশ্রয় প্রার্থীর কন্যা’ হিসেবে বর্ণনা করে সে সময় মা শেখ রেহানার দুর্দশার বিবরণ দেন তিনি। ১৯৭৫ সালে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় খোঁজেন শেখ রেহানা।