সরকারের কাছে বন্দি ইন্টারনেট!
জুলিয়ান আসাঞ্জ, অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেনদের মতো ব্যক্তিদের কারণে মানুষ বিভিন্ন দেশের সরকারের গোপন সব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশের সরকারই নাগরিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে কড়াকড়ি করে রেখেছে। গোপন গোয়েন্দা নজরদারিও চলে অনেক ক্ষেত্রে। এসব ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে বলা যায় যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে এগিয়ে। ইন্টারনেটের ওপর বিভিন্ন দেশের সরকারের নজরদারি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন করেছে প্রভাবশালী সাময়িকী ‘টাইম’।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘ফ্রিডম হাউজ’-এর গবেষণার বরাত দিয়ে টাইম জানিয়েছে, বিশ্বের ৬১ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এমন দেশে বসবাস করে যেখানে সরকারের সমালোচনা নিষিদ্ধ বা এর ওপর কড়াকড়ি আছে। সম্প্রতি ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে ওই গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
কোনো দেশের সরকার ইন্টারনেটে কোন কোন বিষয়গুলো বেশি পরীক্ষা করে গবেষণায় এর একটি তালিকা করা হয়েছে, যার মধ্যে আছে সরকারের প্রতি সমালোচনা, দুর্নীতির অভিযোগ, বিরোধীদলীয় কোনো মন্তব্য, ব্যঙ্গ করে কোনো মন্তব্য, ধর্ম নিয়ে নিন্দা, সামাজিক, অর্থনৈতিক বা অন্য কোনো মন্তব্য, সংখ্যালঘুদের বিষয়ে কোনো তথ্য। এ ছাড়া অনেক ইন্টারনেটে প্রকাশ সংবাদ, মন্তব্য, সন্ত্রাসী মন্তব্য।
উল্লিখিত বিষয়ের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে বিশ্বের দেশগুলোর নিয়ন্ত্রণের তালিকায় শীর্ষে আছে ইথিওপিয়া। এর পরপরই তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো ইরান, চীন, সুইডেন, তুরস্ক, মিসর, রাশিয়া, সৌদি আরব। তালিকার ৫১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৬তম।
ইন্টারনেটে কম নিয়ন্ত্রণ থাকা বিশ্বের দেশগুলো হলো আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও এস্তোনিয়া।