বিদেশি উপহার হিসেবে ওবামা যা পান
উপহার হলো একজনের প্রতি অপরজনের সম্মান বা ভালোবাসার প্রকাশ। আবার মাঝেমধ্যে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকতাও হয়ে দাঁড়ায়। তবে রাষ্ট্র যখন অপরকে উপহার দেয়, তখন সেটি হয় কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ।
কূটনৈতিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছ থেকে উপহার পান, যার মধ্যে আছে ঘড়ি, ট্যাবলেট কম্পিউটার, চিত্রকর্মসহ লাখ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের সামগ্রী।
সম্প্রতি দেশটির সরকার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপহার গ্রহণের নীতি উদার। সব রাষ্ট্রের উপহারই গ্রহণ করেন তিনি। উপহার গ্রহণ না করা হলে কোনো দেশের সরকার তাঁদের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ’ জানিয়েছে, ২০১৪ সালে বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে ওবামা ব্যক্তিগতভাবে যেসব উপহার পেয়েছেন তার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য অনুযায়ী, প্রয়াত সৌদি বাদশাহ ওবামাকে ছয়টি উপহার দিয়েছিলেন যাঁর মূল্য ১৩ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ছিল ওবামার জন্য ১৮ হাজার মার্কিন ডলারের ঘড়ি এবং তাঁর দুই মেয়ে সাশা ও মালিয়ার জন্য ঘড়ি, অলংকার।
আবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্র সফরে ওবামার জন্য এনেছিলেন দামি ট্যাবলেট কম্পিউটার। এ ছাড়া কলম, ফুলদানি, মদের বোতলসহ নানা উপহার পান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ২০টি বেসবল ক্যাপও উপহার হিসেবে পেয়েছেন ওবামা। উপহার হিসেবে অনেক সময় খাবার থাকে। এই খাবার রাষ্ট্রপতির বহরে থাকা সবাই ভাগ করে খান অথবা দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়। ক্ষেত্রবিশেষে খাবার নষ্ট করেও ফেলা হয়।
উপহারের তালিকা দেখে অনেকেই হয়তো মনে করতে পারেন, ওবামা বেশ সৌভাগ্যবান। একটি বিষয় এখনো বলা হয়নি। বিদেশ সফরে নিজের পয়সায় কেনা ছাড়া কোনো উপহারই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিজের কাছে রাখতে পারেন না। সব উপহার চলে যায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাফেজখানায় (আর্কাইভ) বা সরকারের কাছে। আর শুধু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টই নন, রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য পদে থাকা ব্যক্তিদের বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে প্রাপ্ত উপহার সরকারের কাছে তুলে দিতে হয়।