এফবিআইকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় বাংলাদেশির কারাদণ্ড
মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভ্যন্তরীণ তথ্য এবং নথি পাওয়ার জন্য এফবিআইয়ের এক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় এক বাংলাদেশিসহ দুজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।
দণ্ডাদেশ পাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকের নাম রিজভী আহমেদ ওরফে সিজার (৩৬)। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটের ডানবারি এলাকায় থাকেন। অন্যজন মার্কিন নাগরিক জোহান্স থালের (৫১)। তিনি নিউ ফেয়ারফিল্ড এলাকার।
২০১৪ সালের অক্টোবরে ঘুষ দেওয়ার ও ষড়যন্ত্রের ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় রিজভীকে ৪২ মাস ও থালেরকে ৩০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ নিউইয়র্কের বিভাগীয় বিচারক ভিনসেন্ট এল ব্রিকেটি স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন। বিচার বিভাগের (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস) অপরাধবিষয়ক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লেসলি আর কাল্ডওয়েল, দক্ষিণ নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি প্রিট ভারারা এবং বিচার বিভাগের ইন্সপেক্টর জেনারেল মাইকেল ই. হরোউইটজ এসব ঘোষণা করেন।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, থালের ও রিজভী স্বীকার করেছেন, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট রবার্ট লাস্টিককে সংস্থাটির বিভিন্ন গোপন নথি, অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং অন্যান্য গোপনীয় তথ্য দেওয়ার জন্য ঘুষ দিত রিজভী। থালের ছিল লাস্টিকের বন্ধু এবং রিজভী ছিল থালেরের পরিচিত।
এসব তথ্য ছিল বাংলাদেশে একজন বিশিষ্ট নাগরিকের সম্পর্কে, যিনি দেশটির একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত এবং রিজভীর বিপরীত রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী। ওই রাজনীতিবিদকে শনাক্ত করে তার ক্ষতি করতেই এসব গোপন তথ্য চেয়েছিল রিজভী।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে থালের ও লাস্টিক গোপন তথ্য দেওয়ার জন্য রিজভীর কাছে অর্থ চেয়ে চাপ দিয়ে বার্তা পাঠিয়েছিল। এদের দুজনের মধ্যকার অনেক বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের হাতে এসেছে। যেখানে তাদের নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে।
সরকারি সম্পত্তি চুরি, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা, ঘুষ নেওয়াসহ লাস্টিকের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগই ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর প্রমাণিত হয়েছে।