কালেমা লিখতে বলায় ক্ষোভ, যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল বন্ধ
একজন শিক্ষক তাঁর ক্লাসের শিক্ষার্থীদের একটি অ্যাসাইনমেন্ট করে আনতে বলেন। একটি স্কুলের জন্য ঘটনাটি খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই সাধারণ ঘটনার কারণে স্কুলটি আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাজ্যের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের রিভারহেডস হাইস্কুলে।
বিশ্ব ভূগোল ক্লাসে বিশ্বের প্রধান ধর্মগুলো নিয়ে পড়াচ্ছিলেন এক শিক্ষক। সেই সময় ধর্মীয় ক্যালিগ্রাফির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের আরবিতে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ লিখে আনতে বলেন তিনি। যার অর্থ, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, মুহাম্মদ (স.) আল্লাহর প্রেরিত রাসুল।
আর এতেই বাধে যত বিপত্তি। যখন এই শিক্ষার্থীরা বাড়িতে ক্যালিগ্রাফি লেখার কাজ করতে বসে, তখন বেঁকে বসেন অভিভাবকরা। কেউ কেউ মনে করেন, এই লেখার মাধ্যমে তাদের সন্তানদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে।
এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে টেলিফোন ও ইমেইল পাঠিয়ে কিছু অভিভাবক ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানান। তবে অভিভাবকদের ক্ষোভ আরো বাড়ে, যখন স্কুলটির আরেকজন শিক্ষক মুসলমানদের নারীদের মতো অন্য মেয়ে শিক্ষার্থীদের মাথায় স্কার্ফ বা হিজাব পরে আসতে বলেন।
এসব ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ স্কুলটির কর্মকর্তাদের নানা রকম হুমকি দেন। এ ছাড়া স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করার কথাও বলা হয়।
অব্যাহত হুমকির মুখে অগাস্টা কাউন্টি শেরিফ ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে পরামর্শ করে স্কুলটি কিছুদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গতকাল শুক্রবার এই ঘোষণা দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
তবে বিপরীত মতও রয়েছে। জেলার অভিভাবক-শিক্ষক সমিতির প্রধান কেটি রেইচের দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, যে শিক্ষক এই অ্যাসাইনমেন্টটি দিয়েছেন তিনি বিষয় বাছাই করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে আসল সমস্যা সেটা নয়। আসল সমস্যা হলো যারা স্কুল প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন এবং দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চেয়েছেন তাঁরা।