বন্দির অঙ্গ কেটে নিতে আইএসের অনুমোদন!
কোনো মুসলমানের জীবন বাঁচাতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাতে থাকা বন্দিদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে নিয়ে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে যদি ওই বন্দির শরীরের মারাত্মক ক্ষতিও হয় তাতেও কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে আইএস।
আজ শুক্রবার রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে কিছু দলিলপত্র রয়টার্সের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের এই গণমাধ্যমটি।
ইসলামিক স্টেটের রিসার্চ অ্যান্ড ফতোয়া কমিটির ওই নথিতে (যা আসলে একটি ফতোয়া) বলা হয়েছে, ‘ধর্মভ্রষ্ট কোনো ব্যক্তির জীবন এবং দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সম্মান দেওয়ার কিছু নেই এবং প্রয়োজনে এগুলোকে মুক্ত করা হবে।’
এসব নথির ইংরেজি অনুবাদ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই অনুবাদে দেখা যায়, ৬৮ নম্বর ফতোয়ায় বলা হয়েছে, ‘যদি বন্দির শরীরের কোনো প্রত্যঙ্গ খুলে নেওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়, তবুও প্রত্যঙ্গ খুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না।’
শুধু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনই নয়, মানবদেহের কৃত্রিম অঙ্গ তৈরিরও অনুমোদন দিয়েছে আইএস। এই সংগঠনের ইসলামিক গবেষকরা এ বিষয়ে গবেষণা করছেন বলেও জানিয়েছে রয়টার্স। আর এসব কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আইএস মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ পাচার বাণিজ্যের সঙ্গেও জড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অবশ্য হাতে পাওয়া দলিলপত্রের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, গত মে মাসে পূর্ব সিরিয়ায় অভিযান চালিয়ে কিছু তথ্য-উপাত্ত পায় মার্কিন বিশেষ বাহিনী। সেখানেই এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ইসলামিক স্টেট যে সত্যিই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন ও কৃত্রিমভাবে তৈরির কাজ শুরু করেছে সে সম্পর্কে এখনো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অবশ্য এর আগে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাচারের অভিযোগ এনেছিল ইরাক।
এদিকে এসব তথ্য হাতে পাওয়ার পর বিষয়টিকে ভীষণ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে ইসলামিক স্টেটের সাংগঠনিক ব্যবস্থা, তহবিল এবং অন্য বিষয়গুলোর সম্পর্কেও ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা।